দুর্ভাগ্যই বলতে হবে স্প্যানিশ জায়ান্ট বার্সিলোনার। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কাছে হেরে উয়েফা ইউরোপা লিগের রাউন্ড অব বত্রিশ থেকেই বিদায় নিল জাভি হার্নান্দেজের দল। বৃহস্পতিবার ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে প্লে-অফের দ্বিতীয় লেগে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ২-১ গোলে হারিয়েছে কাতালান ক্লাবটিকে। এর আগে ন্যু ক্যাম্পের প্রথম লেগে ২-২ গোলে সমতা থাকায় দুই লেগ মিলিয়ে ৪-৩ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে নকআউট পর্বের টিকিট নিশ্চিত করেছে এরিক টেন হ্যাগের ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড।
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ছাড়াও এদিন ইউরোপিয়ান ফুটবলের দ্বিতীয় সারির এই টুর্নামেন্টের শেষ ষোলোতে জায়গা করে নিয়েছে ইতালিয়ান জায়ান্ট জুভেন্টাস, সেভিয়া, স্পোর্টিং লিসবন, বেয়ার লেভারকুসেন, ইউনিয়ন বার্লিন, শাখতার দোনেৎস্ক এবং রোমা।
ন্যু ক্যাম্পে প্রথম লেগে ড্র করায় ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে বার্সিলোনার জন্য দ্বিতীয় লেগের ম্যাচটা ছিল অগ্নি-পরীক্ষা। তাই জয়ের বিকল্প ছিল না জাভির শিষ্যদের সামনে। তবে শুরুটা বেশ ভালোই করেন তারা। ম্যাচ শুরুর ১৮ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে বার্সিলোনাকে এগিয়ে দেন পোলিশ স্ট্রাইকার রবার্ট লেভানডোস্কি। ফলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় সফরকারী দল। তবে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার ফ্রেড গোল করে সমতায় ফেরান ম্যানইউকে। পরে আয়াক্স থেকে ইউনাইটেডে যোগ দেয়া আরেক ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গার এন্টনি জয়সূচক গোল করে আনন্দের বন্যা বইয়ে দেন ইউনাইটেড শিবিরে।
এই জয়ে নিজেদের মাঠে টানা ১৮ ম্যাচে অপরাজিত থাকল টেন হ্যাগের শিষ্যরা। অন্যদিকে গত অক্টোবর থেকে সব ধরনের প্রতিযোগিতায় অপরাজিত ছিল জাভি হার্নান্দেজের বার্সিলোনা। ইউরোপীয় আসরে এসে আরও একবার ধাক্কা খেল বার্সা। মার্চ মাসের আগেই ইউরোপের মঞ্চ থেকে বিদায় নেওয়ার লজ্জা পেল তারা। এর আগে সর্বশেষ ১৯৯৮-৯৯ মৌসুমে এমন অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে গিয়েছিল কাতালান ক্লাবটি। সেবার ডিসেম্বরের মধ্যেই গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিশ্চিত হয়েছিল কাতালান ক্লাবটির। ২৫ বছর পর আবারও সেই লজ্জার রেকর্ড গড়ল তারা! এই মৌসুমে অক্টোবরের পর প্রথম হারের স্বাদও পেল তারা। ১৮ ম্যাচ পর বার্সিলোনাকে হারের স্বাদ উপহার দিল ম্যানইউ।
এদিকে অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়ার হ্যাটট্রিকে নতের বিপক্ষে ৩-০ গোলের বড় জয় পেয়েছে জুভেন্টাস। সেইসঙ্গে সমষ্টিগতভাবে ৪-১ গোলে এগিয়ে থেকে টুর্নামেন্টের শেষ ষোল নিশ্চিত করেছে ইতালীয়ান জায়ান্টরা। আরেক ম্যাচে পিএসভি আইন্দোভেনের কাছে ২-০ গোলে হেরেছে ছয় বারের চ্যাম্পিয়ন সেভিয়া। তবে দুই লেগ মিলিয়ে ৩-২ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে নকআউট পর্ব নিশ্চিত করেছে সেভিয়াই।
ডেনমার্কের মিডজিল্যান্ডকে ৪-০ গোলে হারিয়ে ৫-১ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে শেষ ষোল নিশ্চিত করেছে স্পোর্টিং লিসবনও। শাখতার দোনেসৎস্ক পেনাল্টি শ্যূটআউটে ৫-৪ ব্যবধানে রেনেসকে হারিয়ে পরের রাউন্ডে এবং বেয়ার লেভারকুসেনও টাইব্রেকারে ৫-৩ ব্যবধানে মোনাকোকে বিদায় করে শেষ ষোলোতে জায়গা করে নেয়।