আগামী শুক্রবার তিন ম্যাচের ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে বাংলাদেশ সফরে আসছে ইংল্যান্ড। ওয়ানডে বিশ্বকাপের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন তারা। বিশ্বকাপের আগে তাদের বিপক্ষে সিরিজটি তাই বেশ কার্যকরী হতে পারে টাইগারদের জন্য। তবে মূল আলোচনা কেমন হবে এ সিরিজের উইকেট? বিশ্বকাপকে সামনে রেখে দীর্ঘমেয়াদী চিন্তা করে এ সিরিজে ভালো ব্যাটিং উইকেট চান বিসিবি পরিচালক ও সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাহমুদ সুজন। চলতি বছরের অক্টোবরে ভারতে অনুষ্ঠিত হবে এবারের আইসিসি ওয়ানডে বিশ্বকাপ। এবারের বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রত্যাশাটা অনেক বড়। গত কয়েক বছর ধরেই এ সংস্করণে ধারাবাহিকভাবে ভালো খেলে আসার কারণেই এবার শিরোপার বাইরে কিছু ভাবছে না টাইগাররা। কিন্তু ঘরের মাঠের টার্নিং উইকেটে খেলার পর দেশের বাইরে কিংবা আইসিসি ইভেন্টগুলোতে বরাবরই চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয় বাংলাদেশকে। দীর্ঘমেয়াদী চিন্তা না করে স্বল্পকালীন সাফল্যের পেছনে ছোটার কারণেই এমনটা হয়ে আসছে বলে মনে করেন ক্রিকেট বোদ্ধারা। তবে বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখে প্রস্তুতির জন্য এবার ভালো উইকেট চান সাবেক সাবেক এই ক্রিকেটার।
গতকাল সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সুজন বলেন,আমরা সবাই জানি, বাংলাদেশ সফরে আসছে ইংল্যান্ড আমাদের লং টার্ম প্রসেসটা চিন্তা করতে হবে। সিরিজ জেতা আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এটা আত্মবিশ্বাস তৈরি করে। তবে আমরা লং টার্ম চিন্তা করে, বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখে, ভালো কিছু করতে চান তাহলে প্রসেসটা ঠিক রাখতে হবে। সেক্ষেত্রে উইকেটও একটা ফ্যাক্টর থাকবে। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তটা নতুন কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে নিবেন জানিয়ে বিসিবির এই পরিচালক বলেন, এখন থেকেই একটা ফ্ল্যাট ব্যাটিং উইকেটে কীভাবে আমাদের বোলাররা প্রতিপক্ষকে আটকাচ্ছে, সেটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। এগুলো তো অবশ্যই… হাথুরু আসুক।
যদিও ইংল্যান্ড সিরিজটা খুব কাছে। এর মধ্যে কতটুকু সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে জানি না। তবে হাথুরু আসলে, হাথুরু অনেক বড় চিন্তা করে। আমরা সবাই জানি, হাথুরু গুড প্ল্যানার। আমি মনে হয় সত্যি বলতে, প্ল্যানিংয়ের মাস্টার সে। কারণ উনি অনেক বড়টা দেখতে পারেন, দূরেরটা দেখতে পারেন। সুতরাং আমার মনে হয়, ও আসলে এগুলো নিয়ে কাজ করা যাবে। হাথুরুর অধীনে বিশ্বকাপে নিজেদের লক্ষ্য জানিয়ে সুজন বলেন, ওয়ানডে বিশ্বকাপ মানেই আমাদের জন্য মূল সংস্করণ। আমি তো চাই, আমরা এখানে বড় খেলি। যেটা করতে পারিনি এখন পর্যন্ত, সেরকম করতে চাই। ভালো কিছু করতে চাই। যেরকম বললাম, আমরা চ্যাম্পিয়ন হতে চাই। যদি এরকম কথাটা বলি আমি প্র্যাকটিক্যালি চিন্তা করলে আমরা অবশ্যই কোয়ার্টার ফাইনালে যেতেই চাই। নক আউট স্টেজে গিয়ে সবসময় চান্স থাকবে… নির্দিষ্ট দিনে ভালো খেললে সামনে এগিয়ে যাওয়ার, সেমি-ফাইনাল ও ফাইনাল খেলার। আমার কথা হচ্ছে, হাথুরুর কোচিংয়ে আমরা কত ভালো ক্রিকেট খেলতে পারি এবং আমাদের কতটা উন্নতি হয়। আমরা এখন ওয়ানডেতে খুব অভিজ্ঞ একটা দল। এটাই আমাদের সবচেয়ে শক্তিশালী সংস্করণ। অনেক দিন ধরে এটাতেই ভালো করছি। এই ভালোটা কীভাবে আরও ওপরে যাওয়া যায় সেটাই লক্ষ্য থাকবে,-
যোগ করেন তিনি। ওয়াডেতে বাংলাদেশ ভালো দল হলেও সেই তুলনায় টি-টোয়েন্টিতে একটু পিছিয়ে রয়েছে সাকিব আল হাসানের দল। সুজন নিজেও অকপটে জানালেন সেটা। তবে তিনি আশা ছাড়ছেন না। জানিয়ে দিলেন, এবার টি-টোয়েন্টিতেও বাংলাদেশ ভালো করবে। সুজন বলেন, ‘টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটটায় আমরা এখনো পিছিয়ে আছি। বিপিএলটা আমার কাছে অর্থবহ। হয়তো অনেক কোয়ালিটি বোলিং ছিল না, ভালো পেসার আসেনি। কিন্তু ছেলেরা অনেক সাহস নিয়ে ব্যাটিং করেছে। আমাদের অনেক তরুণ এবার ভালো ক্রিকেট খেলেছে। এটা আমাদের জন্য অনেক ইতিবাচক দিক। এসব আমলে নিয়েই আশা করি সেরা দল বেছে নিবে। আরও ভালো ক্রিকেট খেলব। আশা করি, টি-টোয়েন্টিতেও এবার আমরা ভালো খেলব।’