চ্যাম্পিয়নস লীগের ২০২২-২৩ মৌসুমে শেষ ষোলোর বাধা টপকাতে পারেনি প্যারিস সেইন্ট জার্মেই (পিএসজি)। ২০২১-২২ মৌসুমেও কোয়ার্টার ফাইনালের টিকিট পায়নি লা প্যারিসিয়ানরা। টানা ব্যর্থতায় লজ্জাজনক অভিজ্ঞতা হয়েছে পিএসজির আর্জেন্টাইন সুপারস্টার লিওনেল মেসির।
২০২১ সালে বার্সেলোনা ছেড়ে পিএসজিতে যোগ দেন লিওনেল মেসি। আর্জেন্টিনা অধিনায়ক প্যারিসে আসার পর টানা দুই মৌসুম চ্যাম্পিয়নস লীগের কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছাতে ব্যর্থ হলো পিএসজি। যা মেসির ক্যারিয়ারে প্রথম। ২০০৪ থেকে ২০২১- বার্সেলোনায় ১৭ বছরের ক্যারিয়ারে কখনই টানা দুই মৌসুম শেষ ষোলো থেকে বাদ পড়ার অভিজ্ঞতা হয়নি মেসির। তাছাড়া আর্জেন্টিনা অধিনায়ক বার্সেলোনা ছাড়ার আগে চ্যাম্পিয়নস লীগে এই ক্লাবের হয়ে সবশেষ কোয়ার্টার ফাইনালে উঠতে পারেননি ২০০৭ সালে। এরপর প্রতিবারই অন্তত কোয়ার্টার ফাইনালে খেলেছেন মেসি।
ক্রীড়া গণমাধ্যম ইএসপিএন এফসি’র টুইটার পেজ থেকে লেখা হয়, ‘বার্সেলোনার হয়ে কখনই টানা দুই মৌসুম চ্যাম্পিয়নস লীগের কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছাতে ব্যর্থ হননি মেসি। আর সে যখন পিএসজিতে যোগ দিলো, তখন থেকে ইউসিএলের কোয়ার্টারের টিকিট পায়নি তার দল।’
ইএসপিএনের সেই টুইটে ফুটবলপ্রেমীদের মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। একজন মন্তব্য করেছেন, ‘এটা প্রমাণ করে যে, পিএসজি একটি ছোট ক্লাব।
তারা মেসির যোগ্য নয়।’ একজন লিখেছেন, ‘বার্সা ছাড়া মেসি অকেজো।’ একজন লিখেছেন, ‘এজন্যই বার্সেলোনা বিশ্বের সেরা ক্লাব।’ ইরফান নামের একজন পিএসজির টানা ব্যর্থতার দায় দিয়েছেন মেসিকেই। তিনি লিখেছেন, ‘এটাই মেসির প্রভাব।’ ইয়েমিসিএফসি নামের এক অ্যাকাউন্ট থেকে লেখা হয়, ‘মেসি পিএসজিকে ধ্বংস করে দিয়েছে।’
মেসি যোগ দেয়ার আগে ২০১৯-২০ মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লীগের ফাইনাল খেলে পিএসজি। পরের মৌসুমে সেমিফাইনাল খেলে লা প্যারিসিয়ানরা। সেই প্রসঙ্গ টেনে একজন লিখেছেন, ‘মেসি যোগ দেয়ার আগে পিএসজি ফাইনাল এবং সেমিফাইনাল খেলেছে। মেসি যোগ দেয়ার পর শেষ ষোলো থেকেই বিদায়। তার কোনো প্রভাবই খাটেনি।’