ট্রেন যাতায়াতের পথকে রেলপথ বলা হয় । রেললােইনের ওপর দিয়ে ট্রেন যাতায়াত করে ; একই সাথে বাজার, ক্রসিং , শহর এলাকায় জনসাধারণের সমাগম যে এলাকায় থাকে সেখানে থাকে গেটম্যান, ফুটপাথ ।
রেললাইনের পাশে থাকে যাতায়াতের ফুটপাথ । বগুড়া শহরে বেশ কয়েকটি রেলগেইট রয়েছে । শহরের মাঝ দিয়ে রেল লাইন যাওয়ায় আছে ফুটপাথ । কিছুদিন আগে সরকারীভাবে নানা ঝুটঝামেলা উপেক্ষা করে রেল লাইনের মাঝে গড়ে ওঠা অবৈধ “হঠাৎ মার্কেট ’’ উচ্ছেদ করেছে রেল কর্তৃপক্ষ । সীমানা প্রাচীরের মাধ্যমে রেললাইনের দুই পার্শ্বে অনুপ্রবেশ ঠেকানো হয়েছে । কিন্তু, সরোজমিনে দেখা যায় শহরের ২ নম্বর , ১ নম্বর রেলঘুমটি সহ সেলিম হোটলের সামনের রেলক্রসিং , কামারগাড়ী রেলক্রসিং , তিনমাথা রেলঘুমটি এলাকায় অনিয়ন্ত্রিত ভাবে যানচলাচল ও সচেতনাতার অভাবে প্রায়শই ঘটছে ছোটবড় নান দূর্ঘটনা ।
ফুটপাথগুলো দখল করে নিয়েছে দুই পার্শ্বে গড়ে ওঠা দোকানীরা । দোকানের সামনে ক্রেতা দাড়নোর জায়গায় রেখেছে তাদের প্রদর্শনী মালামাল । সাধারণ পথচরীরা বাধ্য হয়ে দোকানের সামনের ফুটপাথ ছেড়ে চলাচল করছে রেল লাইনের মাঝ দিয়ে । ট্রেন যাতায়াতের সময়ে পথচারীদের পড়তে হয় শঙ্কায় এইবুঝি ট্রেনের আঘাত লাগলো । ফুটপাথগুলোর গোটাঅংশেই অবৈধভাবে দখল করে নিয়েছেন তারা । ২ নম্বর ও ১ নম্বর রেলঘুমটির মাঝে রীতিমতো বাজার বসে প্রতিদিন । ফুটপাথের ওপরে রয়েছে নানা অবৈধ দখল ।
১ ও ২ নম্বর রেলঘুমটি এলাকাসহ রেলস্টেশনের পর থেকে চেলোপড়ার শেষ পর্যন্ত নানাপদের দোকান । রোহা লস্কর, হার্ডওয়্যার , কাঁচের দোকান, মুরগীর দোকান, ডিমের থরেথরে সাজানো কেস, সবজি, মাছ, লেপ, তোসক, সেলুন, মাংসের দোকন , দুদী দোকান, খাবারের দোকান, ঝুপড়ি হোটেল কি নেই !
রেলপথের চলাচলকে সহজীরেণে সরকারের নানা পদক্ষেপ প্রশংসার দাবী রাখে । দেশের জনসাধারণের কাছে স্বল্পব্যায়ে আরামদায়ক ভ্রমণের নাম ট্রেন । বগুড়াবাসীর নানা সমস্যায় জর্জরিত জীবনে ফুটপাথ সমস্যা নতুন নয় । প্রধান সড়কগুলোর ফুটপাথ সারাদিনে হাতবদল হয় কয়েকদফা । রেললাইনের পাশের ফুটপাথ অত্যন্ত জরুরী পার্শ্বসড়ক , সংশ্লিষ্ট দপ্তর এই বিষয়টিকে সুনজর দিয়ে রেললাইনের পার্শ্বের ফুটপাথকে দখলমুক্ত করে সাধারণ পথচারীদের চলারপথকে সুগম করতে পদক্ষেপ নেবেন বলে বিশ্বাস করেন এসব পথে যাতায়াত কারীরা ।