ঢাকামঙ্গলবার , ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
  • অন্যান্য

বগুড়ার অশান্তি

হাসান শাব্বীর
ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২৩ ৮:৫৯ পূর্বাহ্ণ । ১৫৯ জন
জানজটপূর্ণ শহরের প্রাণকেন্দ্র বীরশ্রেষ্ঠ স্কয়ার , সাতমাথা, বগুড়া ।

বগুড়া  ।  গোছালো, নির্মল আর শান্তির শহর হিসেবে পরিচিত  । শিক্ষা আর বাণিজ্য গুরুত্বে বিভাগীয় শহরগুলোর  সমমানের এ শহরে   অশান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে অসহনীয় শব্দ দূষণ আর জানজট  । বাড়ছে নানান রোগের ঝুঁকি। যদিও এসব দূষণ   নিয়ন্ত্রণে নেই কোন  কার্যকরী উদ্যোগ।

বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, এভাবে চলতে থাকলে বিরূপ প্রভাব পড়বে স্বাভাবিক জনজীবনে।

গেল ১৪ বছরে   উন্নয়ন-সংস্কার কিছু হলেও  জানজটের  দূর্নাম  ছাড়িয়েছে দেশের গণ্ডি।  প্রায়  ৭২  বর্গকিলোমিটারের এ নগরীতে নাগরিকদের আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধা দিতে পৌরসভার নেতৃত্ব নানা  পরিকল্পনা গ্রহণ করলেও  সেসব আলোর মুখ দেখেনি ।

বিধিমালা অনুয়ায়ী, আবাসিক এলাকায় রাত ৯টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত শব্দের মাত্রা ৪৫ ডেসিবেল এবং দিনের অন্য সময়ে ৫৫ ডেসিবেল থাকার কথা। অথচ নগরীর গুরুত্বপূর্ণ অনেক মোড়সহ শিল্প এলাকায় এই মাত্রা দ্বিগুণ থেকে তিনগুণ। শব্দ দূষণরোধে  নগরীর গুরুত্বপূর্ন   স্থানে  পরিবেশ অধিদপ্তর  এর পক্ষ থেকে চোখে পড়ে না কোন বিলবোর্ড। কিংবা প্রচারণা ।  কেবলমাত্র হাসপাতাল , স্কুল সহ স্পর্শকাতর  এলকায় স্ব-স্ব  প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সতর্কী মূলক   “ হর্ন বাজাবেন না , সামনে হাসপাতাল , সামনে স্কুল ”  লেখা সম্বলিত  সাউনবোর্ড  কালেভদ্রে দেখা মেলে ।  

চিকিৎসকরা বলছেন, শব্দ দূষণের শিকার অনেকেরই ধীরে ধীরে কমছে শ্রবণ ক্ষমতা। একইসাথে বাড়ছে নানা ধরণের স্বাস্থ্য ঝুঁকি।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা  বলছেন , ‘শব্দ দূষণে আমাদের মস্তিস্কে নানা ধরণের সমস্যা হতে পারে।’

এদিকে  জানজট  তৈরি করেছে বাড়তি বিড়ম্বনা একসময়ের খরস্রোতা করতোয়া নদীর  পাড়ের এই শহরে ।  সঠিক তদারকি ও  সচেতনতার  অভাবে শান্তির শহরে বিষফোঁড়া হয়ে দাঁড়িয়েছে শব্দদূষণ  ও জানজট । নগর জীবনের এসব জটিলতা এড়াতে জনসচেতনতা তৈরি করা যেমন জরুরি, তেমনই সম্মিলিতভাবে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ এবং তা বাস্তবায়ন করতে হবে। নগরবিদরা বলছেন, শব্দদূষণ ও জানজটের মতো  জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে কোন ধরনের শিথিলতার সুযোগ নেই।