দেড়শ আসনে ইভিএম না কিনে যতগুলো সম্ভব ক্লোজড সার্কিট টেলিভিশন (সিসিটিভি) ক্যামেরা কেনার পরামর্শ দিয়েছেন সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার সাখাওয়াত হোসেন। আজ বুধবার সাবেক নির্বাচন কমিশনারদের সঙ্গে বর্তমান কমিশনের বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘দেড়শ আসনে ইভিএম না কিনে যতখানি পারেন তার চেয়ে বেটার সিসি ক্যামেরা কেনেন। এটা শুধু কেন্দ্র থেকে নয়, ভাগ করে দেন। পাঁচজন কমিশনার আছেন, এগুলো রেকর্ডেড থাকবে।
ব্যালটে কারচুপি শনাক্ত করা সহজ মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘আপনাদের কাছে ভোটার তালিকা আছে। স্বচ্ছ ভোটার তালিকা, সিগনেচার আছে। ম্যাচ করা যায়। সূক্ষ্ম কারচুপি যেটা আপনারা দেখলেন, ইভিএমে কোনো ঝামেলা নাই। হৈচৈ নেই ভেতরে কী হচ্ছে।
‘অন্য সিস্টেমে যেটা হবে, বাইরেও হৈচৈ হবে। একজন লোক পারবে না বুথ ক্যাপচার করতে। পাঁচ-ছয়জন লোক লাগবে। তখন প্রতিপক্ষ হৈচৈ করবে। সেটা আপনারা আরও ভালো করে দেখতে পারবেন।’
জাতীয় পরিচয়পত্র নির্বাচন কমিশনের হাতে থাকা উচিত এমন মত দিয়ে সাখাওয়াত বলেন, ‘এনআইডিটা সরকার এখান থেকে কেন নিতে চাচ্ছে সেটা পরিষ্কার না। এটা যদি আলাদা হয়ে যায় তাহলে কোনো এক সময়ে ভোটার লিস্ট নিয়ে কথা উঠবে, কারটা ঠিক। এই জায়গাতে বর্তমান কমিশনকে সরকারকে বোঝাতে হবে।
‘আল্টিমেটলি গভর্নমেন্ট চাইলে আলাদা করে করতে পারে—কমিশনার এই কথা বললে আমাদের কী করার আছে? গভর্নমেন্টকে বোঝালে বোঝে। কারণ এই সরকারের সময়েই ভোটার লিস্ট তৈরি করেছিলাম। তারা এটার মাধ্যমে ইলেকশন করেছিল। তাহলে এখন হঠাৎ এনআইডিটা কেন নিতে চায়? এর বোধগম্যতা আমার কাছে নাই।’
ভোট চলাকালে অনিয়মের অভিযোগে গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচন বন্ধ করে দেওয়ায় নির্বাচন কমিশনকে সাধুবাদ জানিয়ে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলের ইসি সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন ’৯০-এর দশক থেকে এই ক্ষমতা প্রয়োগ করলে আজকের রাজনৈতিক পরিবেশ ভিন্নও হতে পারত।’