বগুড়ায় কবরস্থানের জমি নিয়ে ১৫ বছরের বিরোধের জেরে আবেদুর রহমান মিস্টার নামে এক পুলিশ সদস্যের লাঠির আঘাতে জীবন নেছা (২৮) নামে এক গৃহবধূ নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বুধবার দুপুরে সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের কুটুরবাড়ি মধ্যপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্বজনরা জানান, নিহত জীবন নেছা বগুড়া সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের কুটুরবাড়ি মধ্যপাড়া গ্রামের পলাশ মিয়ার স্ত্রী।
পলাশ মিয়া অভিযোগ করেন, কবরস্থানের দুই শতক জমির মালিকানা নিয়ে গত ১৫ বছর ধরে প্রতিবেশী মৃত ইজার উদ্দিনের ছেলে পুলিশ সদস্য আবেদুর রহমান মিস্টারের সঙ্গে তাদের বিরোধ চলে আসছে। ঢাকায় কর্মরত পুলিশ সদস্য মিস্টার বাড়িতে এলেই ক্ষমতার প্রভাবে তাদের হুমকি-ধমকি দিয়ে থাকেন। বুধবার দুপুরে জীবন নেছা মাঠে ধান কাটা শ্রমিকদের খাবার দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় পুলিশ মিস্টার, তার দুই ভাই বিপ্লব ও জহুরুল এবং তার ছেলে জীবন নেছার পথরোধ করেন। এরপর তাকে ধরে আমবাগানে নিয়ে বাঁশ দিয়ে মাথায় উপর্যুপরি আঘাত করেন। অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে বেলা ২টার দিকে জীবন নেছা মারা যান।
তিনি আরও বলেন, এভাবে তার স্ত্রীকে হত্যা করা হবে জানলে তিনি ওই জমি তাদের দিয়ে দিতেন। এর আগে নিহতের ভাসুর রাজু আহমেদকেও মারধর করা হয়।
রাজাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রাজিবুল ইসলাম খান জানান, কবরস্থানের দুই শতক জমি নিয়ে ওই দুটি পরিবারের মাঝে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে তিনি কয়েকবার সালিশ ডেকে মীমাংসাও করেছেন। এরপরও তাদের মাঝে গণ্ডগোল চলে আসছে। এর জের ধরেই এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
সদর থানার ওসি নূরে আলম সিদ্দিকী জানান, জমিজমা নিয়ে পূর্ববিরোধের জেরে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। নিহতের স্বজনরা এ হামলার জন্য পুলিশ সদস্য মিস্টারসহ পরিবারের চারজনের নাম বলেছেন। বিকাল পর্যন্ত মামলা হয়নি। হত্যাকারীদের গ্রেফতারে অভিযান শুরু হয়েছে।