সহযোগিতার জন্য টাকা ধার দিয়ে বিপাকে পড়েছে বাবুল হাসান নামের এক যুবক। ধার দেয়া টাকা তুলতে আদালতের দারস্ত হওয়ায় আসামিরা এখন তাকে প্রাণ নাশের হুমকিও দিচ্ছে বলে অভিয়োগ পাওয়া গেছে।
জানা যায়, চাঁপাইনবাবগঞ্জের মো: বাবুল হাসান; বগুড়ায় নৈশ প্রহরীর চুক্তি ভিত্তিক কাজ করেন নারী ও শিশু ট্্রাইবুনাল আদালতে । চাকুরীসূত্রে কোর্ট চত্তরের কাপড় ব্যবসায়ী আব্দুল বাছেদের সাথে বন্ধুসুলভ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ব্যবসায়িক প্রয়োজনে বাবুলের নিকট থেকে দুই বৎসরের আর্থিক সাহায্য নেন আব্দুল বাছেদ ওরফে বাচ্চু। কর্জনামা অনুযায়ী টাকার পরিমাণ ৪ লাখ,৬৫ হাজার টাকা।
বিনাশর্তে কর্জ দিয়ে সময় শেষে ফেরৎ নিতে চাইলে বাধে বিপত্তি। কয়েকদফা সময় ক্ষেপণ করলে বাচ্চুর বিরদ্ধে শাজাহানপুর থানায় অভিযোগ করেন বাবুল। স্থানীয় প্রশাসন, সুধীজন সকলে মিমাংসার চেষ্টা করেন, বাচ্চুকে আবারও সময় দেওয়া হয়। নতুন বেঁধে দেওয়া সময়ও অতিক্রম হলে স্থানীয় প্রশাসনকে জানান বাবুল। আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার পরামর্শ পেয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জের আদালতে ৬১২/২০২২ নম্বর একটি মামলা দায়ের করা হলে আদালতের আদেশে কর্জগ্রহণকারী আব্দুল বাছেদ ওরফে বাচ্চু, খোকন’কে গ্রেফতার করে পুলিশ।
জেল হাজত বাসের পর মীমাংসার অঙ্গিকারে জামনি নিয়ে উল্টো সংবাদ সম্মেলন করে বাবুল হাসানের বিরদ্ধে জাল কর্জনামার অভিযোগ এনে বগুড়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সমেমলন করে বাচ্চু। বা
বুল হাসানের জানায় মূলত তার বিরদ্ধে আনিত অভিযোগ মিথ্যা,ভিত্তিহীন, বানোয়াট। তার দেওয়া তথ্য মতে বাচ্চু, খোকন পেশাদার প্রতারক, ও দালাল চক্রের সদস্য। ইতিপূর্বেও তাদের নামে প্রতারণা, কর্জের টাকা পরিশোধ না করাসহ একাধিক মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে ।
আর্থিক অনিয়ম সংক্রান্ত ২৭০৯/২০১৯, ২০৬/২০২০ মামলায় আসামী তারা ।নিজের জমানো টাকা বিশ্বাসে বিনাশর্তে ধার দিয়ে ব্যক্তিগত প্রয়োজনে ফেরৎ না পেয়ে এখন মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন তিনি। এমন দালাল চক্রের হাত থেকে রেহায় পেতে প্রশাসনের সহযোগীতা কামনা করেন ভুক্তভোগী নৈশ প্রহরী মো: বাবুল হাসান।
এদিকে আব্দুল বাছেদ বাচ্চু সাথে এই অভিযোগের বিষয়ে মোবাইল ফোনে কথা বললে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তিনি ত্রিশ হাজার টাকা ধার নিয়েছিলেন তা ফেরৎ দিয়েছেন। কর্জ নামার ব্যাপারে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ওই কাগজে আমি স্বাক্ষর করি নাই।