পায়ুপথের ক্যান্সার হলো আমাদের পায়ুপথের কোনো অংশের ক্যান্সার। হিউম্যান পেপিলোমা ভাইরাস নামক কিছু ভাইরাস সংক্রমণের ফলে এই রোগ হয়। তাই অনেকাংশেই এই রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব।
কারা এই রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে
১. হিউমান প্যাপিলোমা ভাইরাস দিয়ে সংক্রমিত ব্যক্তি।
২. রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা যাদের কম এইসব এর রোগী।
৩. যাদের যোনিদ্বার, যোনিপথ ও সারভাইকেল ক্যান্সারের ইতিহাস আছে।
৪. অধিক যৌনসঙ্গী যাদের ইতিহাস আছে।
৫. সমকামী বা পায়ুসঙ্গম যারা করেন।
৬. ধূমপায়ী।
রোগের লক্ষণ
১. টাটকা রক্তক্ষরণ
২. মলদ্বারের আশপাশে ফুলা।
৩. ব্যথা।
৪. চুলকানি, রসঝরা
৫. মলত্যাগের অভ্যাস পরিবর্তন।
যাদের এই অভ্যাসগুলো আছে এবং মলদ্বারের আশপাশে এই জাতীয় কোনো কিছু দেখা দেয় তারা দেরি না করে একজন কলোরেক্টাল সার্জারি বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন। ডাক্তার মলদ্বার পরীক্ষা করে আপনার রোগ ও পর্যায় নির্ণয় করে চিকিৎসা পদ্ধতি নির্ণয় করবেন।
চিকিৎসা পদ্ধতি :
* সার্জারির মাধ্যমে চিকিৎসা করা যায়।
* রেডিওথেরাপির মাধ্যমেও চিকিৎসা করা যায়।
* কেমোথেরাপির মাধ্যমেও চিকিৎসা করা যায়।
চিকিৎসা পদ্ধতি কী হবে তা রোগের পর্যায় ও ধরনের উপর নির্ভর করে। তাই সঠিক সময়ে সঠিক ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
প্রতিরোধ:
পায়ুপথে যৌন মিলন পরিহার করুন।
ধূমপান পরিহার করুন।
একাধিক যৌনসঙ্গী পরিহার করুন।
যাদের একাধিক যৌনসঙ্গী আছে তাদের থেকে দূরে থাকুন।