গাছ মানুষের পরম বন্ধু , বিধাতার দান । পৃথিবীতে মানুষের জীবনরক্ষাকারী অক্সিজেন প্রদান করে গাছ । কিন্তু সেই গাছের নিচে পড়ে আবার অনেক হতাহতের ঘটনাও ঘটে ।
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে বগুড়ায় সপ্তাহব্যাপী শেষ হয়েছে একুশে বই মেলা । শহরের শহীদ খোকন পার্ক চত্ত্বরে অনুষ্ঠিত হয় এবারের মেলা । সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট ও জেলা প্রশাসনের আয়োজনে সার্বিকভাবে সহযোগীতায় ছিলো বগুড়া জেলা প্রশাসক । মেলায় দর্শনার্থীদের ছিলো বেশ চোখে পড়ার মতো । পাঠক, প্রশাসক , লেখকদের বাৎসরিক মিলন মেলা মূলত বইমেলা । বইমেলায় পাঠক,ক্রেতার পাশাপাশি সাধারণ দর্শনার্থীদের সাথে শিশু, কিশোর ,বৃদ্ধ সব বয়সী মানুষের সরব যাতায়াত ছিলো ।
শহীদ খোকন পার্কের উত্তরপার্শ্বের গেটের কাছে শহীদ মিনারের খুব কাছেই গেল বৎসরের ঝড়ে উপড়ে পড়া একটি গাছ সীমানা প্রাচীরের ওপর আড়াআড়িভাবে অবহেলায় পড়ে রয়েছে । যে কোন সময় ঘটতে পারে দূর্ঘটনা । একুশে ফেব্রুয়ারীর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান -বই মেলা ছাড়াও সারা বছর শেহীদ খোকন পার্কে জাতীয় স্বাধীনতা দিবস , বিজয় দিবস, সরকারী নানা গুরুত্বপূর্ণ সভা সমাবেশ , সরকারী বেসরকারী জাতীয় বিভিন্ন অনুষ্ঠানসহ নানা আনুষ্ঠানিকতায় ছোট্ট এই পার্কটি ব্যবহৃত হয় । শহীদ খোকন শিশু পার্ক হলেও শিশুদের চাইতে বড়রাই বেশী ব্যবহার করে । দেখভাল করা যাদের দায়িত্ব তারাও যেন নির্বিকার ।
সরকারী সম্পত্তিতে থেকে গাছ অপসারণ না’কি অনেক জটিল একটি প্রক্রিয়া । সাধারণ মানুষ বিশেষত এই পার্কে যারা নিয়মিত হাটা চলা করেন তাদের অনেকেই বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন । গাছটি যে সীমানা প্রাচীরের ওপর উপচে পড়ে আছে সেই সীমানা প্রাচীরও বেশ পুরানো , প্রাচীর ঘেঁষা রয়েছে শহরের একমাত্র ফুল মার্কেট । ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় ২০টি দোকান রয়েছে প্রত্যেকদিন হাজার মানুষের যাতায়াত সে পথে । দোকানীরাও আতংকে রয়েছেন হঠাৎ করে তাদের দোকানের ওপর ভেঙ্গে পড়লে ব্যবসায়িক ক্ষতিসহ জানমালের ক্ষতিরও ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে ।
সচেতন শহরবাসীর অনেকেই বলছেন শহীদ খোকন পার্কের বিষফোঁড়া হয়ে ওঠা উপড়ে পড়া গাছটি দ্রুত অপসারণ করে নতুন চারাগাছ রোপণ সহ আরোও বৃক্ষরোপণ করা হলে পার্কের সৌন্দর্য্য বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে যাতায়াতকারী , দর্শনার্থীরা নিরাপদে চলাচল করতে পারবেন ।