fgh
ঢাকাশনিবার , ২৭ জুলাই ২০২৪
  • অন্যান্য

গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ, পরিবারের দাবি হত্যা

অনলাইন ডেস্ক
জুলাই ২৭, ২০২৪ ১:৪৩ অপরাহ্ণ । ১০৯ জন

ভোলার চরফ্যাশনে শান্তা (২০) নামের এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে শশীভূষণ থানা পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) রাতে হাজারীগঞ্জ ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের নিহতের স্বামীর বসত ঘর থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে শুক্রবার (২৬ জুলাই) সকালে ময়না তদন্তের জন্য ভোলা মর্গে পাঠানো হয়েছে।

আজ শনিবার দুপুরে শশীভূষণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মু. এনামূল হক জানান, এ বিষয়ে গৃহবধূর পরিবার থেকে কোনো অভিযোগ করা হয়নি। নিহত শান্তা ওই গ্রামের তরিকুল ইসলামের ছেলে আলামিনের স্ত্রী ও ওই ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সিদ্দিক বাগার মেয়ে।

নিহতের মা রানু বেগম জানান, চার মাস আগে আলামিনের সঙ্গে মেয়ে শান্তার পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর তার মেয়ের জামাই ও মেয়ের শ্বশুর ধার হিসেবে তাদের থেকে ৭০ হাজার টাকার নেন। মেয়ের বিয়ে চার মাস পরে তাদের সাংসারিক প্রয়োজনে ওই টাকা মেয়ের বাবা শ্বশুর তরিকুল ইসলামের কাছে ফেরত চায়। এতেই তারা মেয়ের জামাই ও তার বাবা মেয়ের ওপর মানুষিক ও শারিরিক নির্যাতন শুরু করে। বিষয়টি মেয়ে তাকে একাধিক ভাবে মুঠোফোনে জানায়।

তিনি আরোও জানান, ঘটনারদিন গত বৃহস্পতিবার আলামিন একটি এনজিও থেকে ৫০ হাজার টাকার লোন উত্তলোন করেন। এসময় মেয়ে ওই লোন নেওয়া টাকা থেকে তার বাবার পাওনা টাকা পরিশোধ করতে বলেন। এনিয়ে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া বিবাধ শুরু হয়। এক পর্যায় শান্তা আত্মহত্যা করেছে বলে জামাতার বাড়ির সদস্যরা খবর দেন। পরে তারা থানা পুলিশকে খবর দিলে মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নেওয়া হয়। তার দাবি তার মেয়েকে পিটিয়ে হত্যার পর ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।

ওসি মু. এনামূল হক জানান, মরদেহ উদ্ধার করে ভোলা মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।