fgh
ঢাকাবৃহস্পতিবার , ১৬ মে ২০২৪
  • অন্যান্য

উপজেলা চেয়ারম্যান ও ওসির বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা

অনলাইন ডেস্ক:
মে ১৬, ২০২৪ ১১:১২ পূর্বাহ্ণ । ১৩৯ জন

থানায় আটকে রেখে চাঁদা দাবি এবং ক্রসফায়ারের হুমকি দেওয়ার অভিযোগে যশোরের কেশবপুর উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মফিজুর রহমান ও কেশবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) জহির উদ্দিনসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে।

বুধবার যশোরের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক সালমান আহমেদ অভিযোগ আমলে নিয়ে পুলিশ পরিদর্শক পদমর্যাদার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার মাধ্যমে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার বাদী কেশবপুর উপজেলার মধ্যকুল গ্রামের নুর মোহাম্মদ সরদারের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম। মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, জাহাঙ্গীর আলম মৎস্যঘের ব্যবসায়ী। তিনি ২০২৪ সালের ২১ জানুয়ারি মধ্যকুল মৌজায় ২১৪ জন মালিকের কাছ থেকে ৪৫০ বিঘা জমি ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা চুক্তিতে ৫ বছরের জন্য ইজারা নেন। সেখানে মাছ চাষ করে আসছেন তিনি। ওই জমির পাশে সদ্য নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান মফিজুর রহমান ১০০ জন কৃষকের কাছ থেকে জমি ইজারা নিয়ে ঘের করার জন্য চুক্তি করেন। মফিজুরের দাবি, জাহাঙ্গীরের ঘেরের ভেতরে ওই ১০০ জন কৃষকের জমিও আছে।

মামলা থেকে জানা যায়, গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকে মফিজুর ও তাঁর সহযোগী আসাদ জমি হস্তান্তরের জন্য জাহাঙ্গীরকে হুমকি দিয়ে আসছেন। এ বিষয়ে জাহাঙ্গীর কেশবপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি করতে গেলে থানার ওসি তা গ্রহণ করেননি।

মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়, সর্বশেষ ১ মে থানার পুলিশের কর্মকর্তা তারিকুল ইসলাম ও আবুল হোসেন জোরপূর্বক বাদী জাহাঙ্গীরকে বাড়ি থেকে থানায় ওসির কক্ষে নিয়ে যান। জাহাঙ্গীর গিয়ে দেখেন, সেখানে ওসি জহির, মফিজুর ও আসাদ রয়েছেন। এ সময় ওসি জহির বাদীকে তাঁর জমি মফিজ ও আসাদকে হস্তান্তর করতে বলেন। ১৫ দিনের মধ্যে মফিজ ও আসাদকে জমি হস্তান্তর না করলে ওসি জহিরকে ৩০ লাখ টাকা চাঁদা দিতে হবে বলে জানান। রাজি না হলে বিলের মধ্যে নিয়ে গুলি করে হত্যা করে ক্রসফায়ারের নামে চালিয়ে দেওয়া হবে বলে হুমকি দেন ওসি। একপর্যায়ে সেখানে বাদীকে ধাক্কা মেরে থানা থেকে বের করে দেওয়া হয় বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।

এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে কেশবপুর থানার ওসি জহির উদ্দিন বলেন, ‘মামলার অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। বিষয়টি আমার জানা নেই।’ আর নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মফিজুর বলেন, ‘ওই ঘটনার সময় আমি নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম। ওসির কক্ষে চাঁদা দাবি করার কোনো প্রশ্নই ওঠে না। যেহেতু আমি নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান, তাই রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় আমাকে ফাঁসাচ্ছে। মামলার অভিযোগ ভিত্তিহীন।’