ঢাকাবৃহস্পতিবার , ৩ আগস্ট ২০২৩
  • অন্যান্য

বিনা নোটিসেই উধাও লাখ লাখ সদস্যসহ ফেসবুক গ্রুপ

অনলাইন ডেস্ক
আগস্ট ৩, ২০২৩ ৫:১৮ অপরাহ্ণ । ৮৩ জন
সংগৃহীত :ছবি

প্রায় দুই মাস ধরে একের পর এক বন্ধ হচ্ছে উদ্যোক্তাদের ফেসবুক গ্রুপ। সুনির্দিষ্ট কারণ ছাড়াই পাঁচ, দশ কিংবা ১৫ লাখের বেশি সদস্যের গ্রুপগুলো বন্ধ হচ্ছে এক নোটিসেই।

উদ্যোক্তারা বলছেন, এর ফলে কোটি টাকার ক্ষতির মুখে পড়েছেন তারা। আর এই বাস্তবতায় ব্যবসার জন্য শুধু ফেসবুকের উপর নির্ভরতা কমানোর তাগিদ প্রযুক্তিবিদদের।

উদ্যোক্তা ইকবাল বাহার। প্রশিক্ষণ দিয়ে উদ্যোক্তা তৈরির জন্য গড়ে তুলেছেন প্লাটফর্ম- নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশন। এই ফাউন্ডেশনের জন্য প্রায় ছয় বছর ধরে যে ফেসবুক গ্রুপটি তিনি তৈরি করেছিলেন, মুহূর্তেই সেই গ্রুপটি হারিয়ে গেল। সেখানে ছিলেন সাড়ে চার লাখের বেশী উদ্যোক্তা। এখন দৈনিক দশ লাখ টাকারও বেশী ক্ষতির মুখে তিনি। যা মাসশেষে গিয়ে দাঁড়ায় প্রায় তিন কোটি টাকায়।

ওদিকে, ২০২০ সালের ৬ অক্টোবর তৈরি হয় একটি ফেসবুক গ্রুপ- রিসাইকেল বিন। দারুণ জনপ্রিয় এই গ্রুপের সদস্যরা ব্যবহৃত পণ্য কেনা-বেচা করতে পারতেন সাশ্রয়ী মূল্যে। তিন বছরে সাড়ে ১৫ লাখের বেশী সদস্যের সেই গ্রুপটিও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। কয়েকদিনের ব্যবধানে আরেকটি গ্রুপও হারান এর উদ্যোক্তা ফ্লোরিডা শারমিন সেতু।

তিনি জানান, গত ১৮ জুলাই সন্ধ্যায় কোনও ধরণের সতর্কবার্তা ছাড়াই তার গ্রুপটি উধাও হয়ে যায়। সাধারণত গ্রুপে কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ডবিরোধী কোনও কার্যক্রম চললে ফেসবুক এডমিনদের নোটিস দেয়। এর ৯০ দিনের মধ্যে আবারও একই ধরণের কাজ হলে এডমিনদের জানিয়ে গ্রুপটি ডিজেবল করে দেয়া হয়।

তবে রিসাইকেল বিনের ক্ষেত্রে সেরকম কোনও পূর্ব সতর্কবার্তা না দিয়েই গ্রুপটি ডিজেবল করে দেয় ফেসবুক। পরে ইমেইলের মাধ্যমে এডমিনকে এ ব্যাপারে জানানো হয়।

শুধু এ দুটিই নয়, গেল একমাসে অন্তত সাতটি বড় গ্রুপ সরিয়ে নিয়েছে ফেসবুক। প্রযুক্তিবিদরা বলছেন, গ্রুপে অতিমাত্রায় ফেইক আইডির সদস্যরা থাকলে কিংবা ইচ্ছাকৃতভাবে কেউ রিপোর্ট করেও এগুলো বন্ধ করে থাকতে পারে।

এক্ষেত্রে বাংলাদেশে ফেসবুকের অফিস না থাকা সমস্যা কিনা, তা জানতে চাইলে প্রযুক্তি বিশ্লেষক সুমন আহমেদ সাবির বলেন, আমাদের দেশে এখন বহু মানুষ এসব সেবা ব্যবহার করেন। এই প্রতিষ্ঠানগুলো শুধু বিপণনের দিকটি দেখলেও, অভিযোগ এবং গ্রাহক সেবা বিষয়ে তাদের আরও মনোযোগ দেয়া উচিত।

এ বছরের শুরুতেও ফেসবুকে হঠাৎ ফলোয়ার এবং রিচ কমে যাওয়ার অভিযোগ ওঠে। তাই ব্যবসার জন্য ফেসবুকের পাশাপাশি অন্যান্য প্লাটফর্ম খোঁজার তাগিদ দিয়েছেন প্রযুক্তিবিদরা।