বগুড়া-৬ (সদর) আসনের উপ-নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম জামানত হারিয়েছেন।
নির্বাচন কমিশনের বিধিমালা অনুযায়ী কোনো প্রার্থীকে জামানত রক্ষা করতে হলে মোট বৈধ ভোটের (কাস্টিং ভোট) আট ভাগের এক ভাগ থেকে অন্তত একটি ভোট বেশি হবে। কিন্তু এই উপনির্বাচনে হিরো আলম বগুড়া-৬ আসনে ৫ হাজার ২৭৪ ভোট পেয়েছেন। এই ভোটে জামানত রক্ষার জন্য ১১ হাজার ৪৬৮ ভোট। তবে বগুড়া-৪ আসনে তিনি প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন। সেখানে তিনি ১৯ হাজার ৫৭১ ভোট।
বগুড়ার শেরপুর উপজেলার নির্বাচন কর্মকর্তা জাকির হোসেন (বগুড়ার উপনির্বাচনে দায়িত্বপালনকারী কর্মকর্তা) বলেন, কোনো প্রার্থীকে জামানত রক্ষা করতে হলে কাস্টিং ভোটের ৮ শতাংশ থেকে একটি ভোট বেশি পেতে হবে। এর কম ভোট পেলে তার জামানত বাজেয়াপ্ত হবে।
বগুড়ার উপনির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলামের সই করা ভোটার তালিকা অনুযায়ী নৌকা প্রতীকের প্রার্থী রাগেবুল আহসান রিপু ৪৯ হাজার ৩৩৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছে। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আব্দুল মান্নান ২১ হাজার ৮৬৪ ভোট পেয়েছেন।
হিরো আলমের সাথে আরও যারা জামানত হারালেন তারা হলেন, লাঙ্গল প্রতীকের নুরুল ইসলাম ওমর। তিনি এই আসনের সাবেক সংসদ সদস্য। ওমর পেয়েছেন ৬ হাজার ৯৯৫ ভোট। বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের নজরুল ইসলাম বটগাছ প্রতীকে ৪৬৮ ভোট, জাকের পার্টির মো. ফয়সাল বিন শফিক গোলাপ ফুলে পেয়েছেন ৪১৭, জাসদের ইমদাদুল হক ইমদাদ পেয়েছেন ১ হাজার ৩৪০ ভোট, গণফ্রন্টের প্রার্থী আফজাল হোসেন মাছ প্রতীকে পেয়েছেন ১৭০ ভোট, স্বতন্ত্র প্রাথী মাসুদার রহমান হেলাল আপেল প্রতীকে পেয়েছেন ১ হাজার ৬১৮ ভোট, রাবিক হাসান কুমিড় প্রতীকে পেয়েছেন ১ হাজার ৪৪৯ ভোট, কুড়াল মার্কায় সরকার বাদল পেয়েছেন ২ হাজার ৮১১ ভোট।
বগুড়া-৬ (সদর) আসনে মোট ভোটার ৪ লাখ ১০ হাজার ৭৪৩ জন। ভোট কেন্দ্র ছিল ১৪৩ টি ও কক্ষ ছিল ১ হাজার ১৭টি। এ আসনে ১৪৩ জন প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, ১ হাজার ১৭ সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ও ২ হাজার ৩৪ জন পোলিং কর্মকর্তা নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করেছেন ।
যদিও বগুড়া সদর আসনে ভোট শুরুর পর থেকেই স্বতন্ত্র প্রার্থীরা বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ তুলে আসছেন। তাদের মধ্যে অনেকে এজেন্টে বের করে দেওয়ার অভিযোগে সবর ছিলেন সারাদিন। কিন্তু রিটার্নিং কর্মকর্তা জানান, দুএকটি কেন্দ্রের বিষয়ে বিষয়ে আমাদের কাছে এমন অভিযোগ থাকলেও ওখানে আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা গিয়ে কাউকে পায়নি। দুই আসনের কোথাও এমন পরিস্থিতি হলে তারা ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।