fgh
ঢাকাসোমবার , ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
  • অন্যান্য

কেন দেশ ছেড়ে পালাচ্ছে মিয়ানমারের সেনারা?

অনলাইন ডেস্ক
ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২৪ ৬:৪৭ অপরাহ্ণ । ১২১ জন

মিয়ানমারে বাংলাদেশ সীমান্ত-ঘেঁষা এলাকায় বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর সাথে সে দেশটির সেনাবাহিনীর যুদ্ধ এতটাই ভয়াবহ রূপ নিয়েছে যে দেশ ছেড়ে পালাতে শুরু করেছে মিয়ানমারের বাহিনী। মিয়ানমার ও বাংলাদেশের মধ্যেকার তুমব্রু ঘুমধুম সীমান্তের তিনটি স্থান দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে শুরু করে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপি-র সদস্যরা।গতকাল রবিবার রাত পর্যন্ত ৯৫ জন প্রবেশের তথ্য দিয়েছে বিজিবি সদর দপ্তর। এমন অবস্থায় সীমান্তের বাসিন্দাদের মাঝে উদ্বেগ দেখা যাচ্ছে।

২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে অং সান সুচির সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার সময় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে সামরিক বাহিনী। সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রপন্থিদের বিক্ষোভ কঠোরভাবে দমন করে জান্তা। স্থানীয় এক পর্যবেক্ষক গোষ্ঠীর মতে, সামরিক বাহিনীর দমন অভিযানে চার হাজার ৪০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। গ্রেপ্তার হয়েছেন কয়েক হাজার। তবে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে তীব্র অভিযান শুরু করেছে বিদ্রোহী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো। তাদের তোপে দিশেহারা হয়ে পড়েছে জান্তা বাহিনী। একের পর এক ঘাঁটি হারাচ্ছে তারা।

মিয়ানমারের অভ্যন্তরে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর সাথে সে দেশের সেনাবাহিনীর যুদ্ধ চলছে কয়েক মাস থেকে। মিয়ানমারের সামরিক জান্তার দখলে থাকা অনেক শহর ও এলাকা বিদ্রোহীরা নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। থাইল্যান্ডে নির্বাসিত মিয়ানমার নাগরিকদের পরিচালিত সংবাদ মাধ্যম ‘ইরাবতী’র প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের সীমান্ত সংলগ্ন মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে দেশটির আরেকটি ব্যাটেলিয়ন দখলে নিয়েছে আরাকান আর্মির যোদ্ধারা।

আরাকান আর্মির বরাত দিয়ে সংবাদ মাধ্যম ইরাবতী জানাচ্ছে, গত বুধবার রাখাইন রাজ্যের উপকূলীয় রামরি এলাকায় জান্তা বাহিনীর সঙ্গে তাদের লড়াই হয়। বঙ্গোপসাগরের ওই দ্বীপ শহরে আরাকান আর্মির যোদ্ধারা ঢোকার পর সেখানে জান্তা বাহিনীর অস্ত্র, গোলাবারুদ ও সৈনিকদের মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন তারা।

সংবাদ মাধ্যমগুলো বলছে, আরাকান আর্মি ১৩ নভেম্বর রাখাইনে ‘অপারেশন ১০২৭’ শুরু করার পর সিতওয়ে-র নিকটবর্তী পাউকতাও শহর এবং চিন প্রদেশের পালেতাওয়া শহর-সহ ১৬০টি অবস্থান থেকে মিয়ানমার বাহিনীকে উৎখাত করেছে।

এই ধারাবাহিকতায় গত জানুয়ারির শেষ দিকে বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী রাখাইন ও আরাকান রাজ্যেও যুদ্ধ-পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করে। দু’পক্ষের সংঘাত এতটাই তীব্র আকার নেয় যে মিয়ানমারের বিজিপি পালিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে শুরু করে।

রবিবার মধ্য শেষ রাত থেকে গোলাগুলি শুরু হয় ঘুমধুম-তুমব্রু সীমান্তের ওপারে মিয়ানমার অংশে। ভোররাত থেকে এই পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করে। ওপারে গুলি ও মর্টার শেলের শব্দে কেঁপে ওঠে সীমান্তের বাংলাদেশ অংশও।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, গোলাগুলির সময় কিছুক্ষণ পরপর মিয়ানমার সীমান্তে হেলিকপ্টারের মহড়া দেখা যাচ্ছে। যেগুলো ব্যবহার করছে মিয়ানমার সেনারা।