সাবেক যোগাযোগ মন্ত্রী ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)। রোববার রাত ১০ টায় রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। নাজমুল হুদা ক্যান্সারসহ নানা জটিলতায় ভুগছিলেন।
ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার একান্ত সচিব আক্কাস আলী খান জানিয়েছেন, রাতেই লাশ ধানমন্ডির বাসায় নেয়া হয়। আজ সকাল ১১টায় ধানমন্ডির বায়তুল আমান জামে মসজিদ প্রাঙ্গনে প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। পরে লাশ নেয়া হবে দোহারে। সেখানে জয়পাড়া স্কুল মাঠে বাদ যোহর দ্বিতীয় এবং বাদ আসর পদ্মা কলেজ মাঠে তৃতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। পরে পারিবারিক কবরস্থানে ব্যারিস্টার নাজমুল হুদাকে সমাহিত করা হবে।
মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী ব্যারিস্টার সিগমা হুদা এবং দুই কন্যা অন্তরা হুদা সামিলা ও শ্রাবন্তী হুদা আমিনাকে রেখে গেছেন। রাজনীতির পাশাপাশি তিনি আইনজীবী হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছিলেন।
ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার জন্ম ১৯৪৩ সালের ৬ই জানুয়ারি। তিনি ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১ সালে পরপর ৩ বার ঢাকা-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা। তিনি ছিলেন দলের সর্বকনিষ্ঠ স্থায়ী কমিটির সদস্য। ১৯৯১ সালে বিএনপি সরকার গঠন করলে তিনি তথ্য মন্ত্রীর দায়িত্ব পান। ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত তিনি বিএনপি’র নেতৃত্বাধীন সরকারের যোগাযোগ মন্ত্রী ছিলেন।
২০১০ সালে তিনি বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত হন। তখন দলের ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি। বহিষ্কৃত হলেও ব্যারিস্টার হুদা বিএনপির দলীয় কার্যক্রম চালিয়ে যান। ২০১১ সালের ৫ই এপ্রিল তার সদস্য পদ ফিরিয়ে দেয়া হয়। যদিও ২০১২ সালে ৬ই জুন নাজমুল হুদা নিজেই বিএনপি থেকে পদত্যাগ করেন।
ওই বছরের ১০ই আগস্ট আবুল কালাম আজাদকে সমন্বয়ক করে গঠন করেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ফ্রন্ট (বিএনএফ)। ২০১৪ সালের ৭ই মে তিনি বাংলাদেশ জাতীয় জোট নামে একটি নতুন জোট গঠন করেন। একই বছরের ২১শে নভেম্বর তিনি বাংলাদেশ মানবাধিকার পার্টি নামে নতুন দল গঠন করেন। ২০১৫ সালে নাজমুল হুদা তৃণমূল বিএনপি নামে একটি নতুন দল গঠন করেন। আদালতের নির্দেশে চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে দলটি নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন পায়।