ইউরোপের দরিদ্রতম দেশ মলদোভা সরকারের প্রধানমন্ত্রী নাটালিয়া গ্যাভ্রিলিটা পদত্যাগ করেছেন। দায়িত্ব নেওয়ার ১৮ মাসের মাথায় রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতার মধ্যেই ইউরোপীয় ইউনিয়নপন্থী সরকারের বিদায় ঘণ্টা বাজল সাবেক সোভিয়েত রাষ্ট্রটির। খবর: বিবিসি’র।
প্রতিবেশী ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরুর পর প্রচুর শরণার্থী মলদোভায় ঢুকেছে। যুদ্ধের প্রভাব বেশ ভালভাবেই পড়েছে ইউক্রেনের সঙ্গে এক হাজার ২২২ কিলোমিটার সীমান্ত থাকা দেশটিতে। জ্বালানির উচ্চমূল্য ও অন্যান্য নিত্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি চরমে পৌঁছেছে।
গতকাল শুক্রবার প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন প্রেসিডেন্ট মায়া সানদু। নাটালিয়া গ্যাভ্রিলিটার জায়গায় প্রেসিডেন্ট তাঁর সাবেক প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা দোরিন রেচানকে নিয়োগ করেছেন। রেচান অতিসত্তর পার্লামেন্টের অনুমোদন পাবেন বলে আশা করা হচ্ছে। তিনি বলেছেন, অর্থনীতি পুনরুদ্ধার করতে তিনি ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) মলদোভার যোগদানের চেষ্টা নিয়ে এগিয়ে যাবেন।
মলদোভার আকাশসীমায় রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র ওড়ার খবরের কয়েক ঘণ্টা পরই প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের ঘোষণা আসে। এ সময় নাটালিয়া গ্যাভ্রিলিটা বলেন, তাঁর সরকার ২০২১ সালে নির্বাচিত হয়। রাশিয়ার ইউক্রেন আগ্রাসনের কারণে এতটা সংকটে পড়তে হবে কেউ ভাবেনি। রাশিয়ার প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘আগ্রাসন শুরুর পরই আমাদের জ্বালানি নিয়ে ব্ল্যাকমেইল করা হয়েছে।’
রাশিয়ার গ্যাসের ওপর শতভাগ নির্ভরশীল ছিল মলদোভা। ইউক্রেন আগ্রসানের পর রাশিয়া মলদোভায় গ্যাসের সরবরাহ কমিয়ে দেয়। দেশটিতে আকাশচুম্বী মূল্যস্ফীতি দেখা দেয় এবং উচ্চ জ্বালানিমূল্যের কারণে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি হয়।