ঢাকারবিবার , ৭ মে ২০২৩
  • অন্যান্য

আট বছরের শিশুকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যা

অনলাইন ডেস্ক
মে ৭, ২০২৩ ১১:৪৮ পূর্বাহ্ণ । ১১৩ জন
ছবি: সংগৃহীত

বগুড়ার ধুনট উপজেলায় আট বছর বয়সী মায়দা আক্তার রজনীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যা করে মরদেহ জঙ্গলে ফেলে দেওয়া হয়েছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে শুক্রবার (৫ মে) দিনগত রাতে ১৭ বছর বয়সী এক কিশোরকে গ্রেফতার করা হয়।

শনিবার বিকেল ৪টার দিকে সংবাদ সম্মেলনে বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) স্নিগ্ধ আকতার এ তথ্য জানান।

সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে ধুনটের এলাঙ্গী উচ্চ বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর সংলগ্ন জঙ্গল থেকে শিশু রজনীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ওই ঘটনার তদন্তে নেমে রাতেই শিশুটিকে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে প্রতিবেশী এক কিশোরকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশের কাছে দেওয়া প্রাথমিক জবানবন্দিতে ওই কিশোর শিশুটিকে ধর্ষণের পর মাথায় আঘাত ও শ্বাসরোধে হত্যার কথা স্বীকার করেছে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার স্নিগ্ধ আকতার বলেন, গ্রেফতার কিশোর পেশায় একজন লেদ শ্রমিক। প্রায় ১০দিন আগে সে তার দুই বন্ধুকে নিয়ে রজনীকে ধর্ষণের পরিকল্পনা করে। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে শিশুটি আম কুড়ানোর জন্য এলাঙ্গী উচ্চ বিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে যায়। এই সময় গ্রেফতার কিশোর তার দুই বন্ধুকে নিয়ে রজনীর মুখ চেপে ধরে স্কুলের দক্ষিণ পাশের গলিতে নিয়ে গিয়ে পালাক্রমে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে। শিশুটি এই তিন কিশোরের প্রতিবেশী হওয়ায় তাদের চিনে ফেলে। এজন্য তারা ইট দিয়ে রজনীর মাথায় আঘাত করে। এরপরও মৃত্যু না হওয়ায় তিন কিশোর মিলে রজনীকে গলা টিপে হত্যা করে। মৃত্যু নিশ্চিতের হওয়ার পর শিশুটির মরদেহ বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর সংলগ্ন জঙ্গলে ফেলে রেখে যায়।