বৈদেশিক মুদ্রার সংকট মেটাতে রিজার্ভ থেকে প্রতিনিয়তই বাজারে ডলার ছাড়তে হচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংককে। পাশাপাশি পরিশোধ করতে হচ্ছে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) বিল। এতে দেশের বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভে বড় ধরনের সংকট তৈরি হয়েছে। বর্তমানে রিজার্ভ আছে ৩০ দশমিক ৮৭ বিলিয়ন ডলার। চলতি সপ্তাহে আকু বিল পরিশোধের পর রিজার্ভ নামবে ২৯ দশমিক ৭৫ বিলিয়ন ডলারে। ফলে সাত বছর পর রিজার্ভ ৩০ বিলিয়নের নিচে নেমে আসছে। এর আগে ২০১৫-১৬ অর্থবছর শেষে রিজার্ভ ছিল ৩০ দশমিক ৩৫ বিলিয়ন ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী, এ রিজার্ভ দিয়ে পাঁচ মাসের কিছু বেশি সময়ের আমদানি ব্যয় মেটানো যাবে। তবে আইএমএফের হিসাবে ব্যবহারযোগ্য যে রিজার্ভ রয়েছে তা দিয়ে চার মাসের আমদানি ব্যয়ও মেটানো যাবে না। এতে দেশে বিদেশি মুদ্রার সংকট আরও প্রকট আকার ধারণ করবে।
এদিকে আইএমএফের শর্ত অনুযায়ী, আগামী জুনে ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভ থাকতে হবে ২৪ বিলিয়ন ডলার। এ শর্তপূরণে রপ্তানি উন্নয়ন তহবিলে (ইডিএফ) থেকে ১ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার কমিয়ে আনা হয়েছে। তবুও আকু বিল পরিশোধের পর ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভ নেমে আসছে ২২ বিলিয়নে। বিশ্লেষকরা বলছেন, আমদানি কমানো ও রপ্তানি বৃদ্ধি করা না গেলে চলতি বছরের শেষ নাগাদ বড় ধরনের অর্থনৈতিক সংকটের মুখে পড়তে হবে বাংলাদেশকে।
এদিকে একধাপেই ডলারের দাম ১ টাকা ৫০ পয়সা বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। গতকাল মঙ্গলবার ডলারপ্রতি ১০৪ টাকা ৫০ পয়সায় দরে ব্যাংকগুলোর কাছে ৫৬ মিলিয়ন ডলার বিক্রি করে আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রণ সংস্থাটি। এতে রিজার্ভ নেমে দাঁড়ায় ৩০ দশমিক ৮৭ বিলিয়ন ডলার। এর আগে ব্যাংকগুলোর কাছে ১০৩ টাকায় ডলার বিক্রি হচ্ছিল। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একটি সূত্র বলছে, আগামী জুনের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক ডলারের দাম ১০৬ টাকায় তুলবে। আইএমএফের শর্ত অনুযায়ী ডলারের একক রেট বাস্তবায়নেই এমন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।+