রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে ডলার সংকটে পরে অনেক দেশ। এমন অবস্থায় ডলারের ওপর চাপ কমাতে টাকা ও রুপিতে লেনদেন করতে সম্মত হয়েছে বাংলাদেশ ও ভারত।
এজন্য অ্যাকাউন্ট খোলা হবে সোনালী ব্যাংক, ইস্টার্ন ব্যাংক, স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া ও আইসিআইসিআই ব্যাংকে।
সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফজাল করিম বলছেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি পেলে টাকা কিংবা রুপিতে ভারতের সাথে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য সম্ভব হবে। এতে ডলারের ওপর চাপ কমে আসবে।
তিনি বলেন, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে আমাদের ডলারের ওপর যে চাপ আছে সেটি কিছুটা হলেও হ্রাস পাবে। দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানিতে আমরা ডলার ছাড়াও অন্য মুদ্রা ব্যবহার করতে পারছি, এটি একটি বড় সুবিধা।
তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র বলছেন, বিশ্ব পরিস্থিতি বিবেচনায় অনেক দেশই বিকল্প মুদ্রায় লেনদেন করছে। খরচ কমাতে দিল্লির প্রস্তাব বিবেচনায় এ বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক বলেন, বিভিন্ন পর্যায়ে কয়েকবার মুদ্রাকে রূপান্তর করতে হয়। এই ধরনের পরিবর্তনকে কমানোর জন্য সরাসরি টাকা-রুপি লেনদেনের বিষয়টি চিন্তা করা হয়েছে। ভারতের যে প্রস্তাব, সেটা আমরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখেছি। এতে আমাদের জন্য খরচ হয়তো অনেক কমানো সম্ভব হবে।
দুই দেশের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন অর্থনীতিবিদরা। তবে, এই প্রক্রিয়ায় ব্যবসায়ীদের সম্পৃক্ত করাই বড় চ্যালেঞ্জ হবে বলে মনে করেন তারা।
পিআরআই’র নির্বাহী পরিচালক এবং অর্থনীতিবিদ আহসান এইচ মনসুর বলেন, আমদানি-রপ্তানি দুই ক্ষেত্রেই লেনদেন রুপিতে হলে সমস্যা নেই। তবে অন্য দেশ থেকে কাঁচামাল আমদানি করে ভারতে রপ্তানি করলে কিন্তু লেনদেনের খরচ বাড়বে।
বাংলাদেশ থেকে ভারতে রপ্তানির পরিমাণ প্রায় ২ বিলিয়ন ডলার। বিপরীতে আমদানির পরিমান ১৩ বিলিয়নেরও বেশি।