২০ এপ্রিল, পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার এক্সমাউথ শহরটি ‘হাইব্রিড’ সূর্যগ্রহণের’ মতো বিরল ঘটনার সাক্ষী হবে- যার নাম নিঙ্গালু গ্রহন। এটি প্রতি ৪০০ বছরে একবার ঘটে। এবারের সূর্যগ্রহণ খুবই বিশেষ হতে চলেছে, কারণ একই সঙ্গে সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে তিনটি রূপে। এর মধ্যে আংশিক, সম্পূর্ণ এবং বৃত্তাকার সূর্যগ্রহণ অন্তর্ভুক্ত। এর বিশেষত্ব হল- এখানে সূর্যের আকৃতির থেকে চাঁদের ছায়া ছোট। ফলে চাঁদ সূর্যকে পুরোপুরি আড়াল করতে পারে না। সূর্যের সোনালি বৃত্ত চাঁদের ছায়াকে ছাপিয়ে চারপাশ থেকে দেখা যায়। মাঝখানে অন্ধকার আর চারপাশে সোনালি বলয়ের সেই সূর্যকে দেখতে লাগে খানিকটা সোনার আংটির মতো। এই সূর্যগ্রহণের সময় পৃথিবী থেকে চাঁদের দূরত্ব বেশিও না কমও নয়। এই বিরল গ্রহণের সময়, সূর্য কয়েক সেকেন্ডের জন্য একটি বলয়ের মতো আকৃতি তৈরি করে, যাকে আগুনের বলয় বলা হয়।
মোট সূর্যগ্রহণে চাঁদের ছায়া থাকবে নিঙ্গালু অঞ্চলের উপর দিয়ে ৪০ কিলোমিটার প্রশস্ত ট্র্যাকে। এই সীমিত সময়ের মধ্যে আসন্ন ৬২-সেকেন্ডের লাইট শো দেখার জন্য ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট হিসাবে মনোনীত করা সমুদ্রের দৃশ্যের আশেপাশের এলাকাটি হবে ভূমির সর্বশ্রেষ্ঠ স্থান। পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ান সরকারের মতে শুধুমাত্র এক্সমাউথ, অস্ট্রেলিয়ার পশ্চিম উপকূলের একটি গ্রাম, সম্পূর্ণ গ্রহন অনুভব করতে সক্ষম হবে। শুধুমাত্র এক্সমাউথ, অস্ট্রেলিয়ার পশ্চিম উপকূলের একটি গ্রাম, সম্পূর্ণ গ্রহন অনুভব করতে সক্ষম হবে। এই সূর্যগ্রহণ আংশিক দেখা যাবে কম্বোডিয়া, চীন, আমেরিকা, মাইক্রোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ফিজি, জাপান, সামোয়া, সলোমন, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড,অ্যান্টার্কটিকা ,নিউজিল্যান্ড, ভিয়েতনাম, তাইওয়ান, পাপুয়া নিউগিনি, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইনে। আগামী বৃহস্পতিবার পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণের সময় এক বিরল মহাজাগতিক দৃশ্যের সাক্ষী থাকবে পৃথিবী।
সূত্র : ডিএনএ ইন্ডিয়া