ক্ষমতায় আসার পরই আফগান মেয়েদের পড়াশোনায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল তালেবান। পরে যদিও ঘরে-বাইরে চাপের জেরে নিষেধাজ্ঞা কিছুটা শিথিল করা হয়। এবার জাতিসংঘে আফগান মহিলাদের কাজের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করল তালেবান সরকার। ইতিমধ্যে এ বিষয়ে তালেবান সরকারের তরফে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। এটি আভ্যন্তরীণ সিদ্ধান্ত জানিয়ে নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, “সব পক্ষের তরফে এই সিদ্ধান্তকে সম্মান জানানো উচিত।”
জাতিসংঘে আফগান মহিলাদের কাজের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করার বিষয়টি জানিয়ে বিবৃতিও দিয়েছেন তালেবান সরকারের মুখপাত্র জাহিবুল্লাহ মুজাহিদ। তিনি বলেন, ‘জাতিসংঘের কাজে বাধা সৃষ্টি করতে চায় না ইসলামি রাষ্ট্র। বরং এটা স্পষ্ট করতে চায় যে, এটি আফগানিস্তানের একটি অভ্যন্তরীণ সমস্যা, সব পক্ষের এই সিদ্ধান্তে সম্মান জানানো উচিত।”
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে তালেবান ক্ষমতা দখলের পর থেকে আফগান মহিলাদের উপর অনেকগুলি বিধি-নিষেধ আরোপ করেছে। যার মধ্যে রয়েছে উচ্চ শিক্ষা এবং বেসরকারি চাকরিতে মহিলাদের নিষিদ্ধ করা। তারপর গত মঙ্গলবারই জাতিসংঘ বলেছে যে, জোর করে নিষেধাজ্ঞা চাপানো হচ্ছে। এই নিষেধাজ্ঞা আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে ‘বেআইনি’।
যদিও এদিন তালেবান সরকারের মুখপাত্র মুজাহিদিন বলেন, “এই সিদ্ধান্তের মধ্যে কোনও বৈষম্য নেই। ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক স্বার্থ বিবেচনা করে আমরা আমাদের জনগণের সমস্ত অধিকারের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।” তবে তালেবান সরকার আফগান মহিলাদের জাতিসংঘে কাজ করার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারির ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই সমস্ত আফগান কর্মীদের কাজের উপর পাল্টা নির্দেশিকা জারি করেছে জাতিসংঘ। সেই নির্দেশিকায় মহিলা থেকে পুরুষ- জাতিসংঘে সমস্ত আফগান কর্মীরই কাজের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশিকা না আসা পর্যন্ত সমস্ত আফগান কর্মীকে জাতিসংঘে কাজ না করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সূত্র: এএফপি।