আর মাত্র একদিন পরই (অর্থাৎ ২০ এপ্রিল থেকে) শুরু হবে ঈদুল ফিতরের ছুটি। কিন্তু এখনো দেশের ৬ হাজার ৯৫১টি কল-কারখানার শ্রমিকদের ঈদুল ফিতরের বোনাস দেওয়া হয়নি। বাংলাদেশ শিল্পাঞ্চল পুলিশ, বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ, বিটিএমইএ, বেপজা সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
শ্রমিকদের দাবি, ছুটি পর্যন্ত অপেক্ষা না করে দ্রুত বোনাস দেওয়া হোক, তারা যাতে ঈদের কেনাকাটা করতে পারে। অন্যদিকে কারখানার মালিকরাও বলছেন, ঈদের ছুটির আগেই সব বোনাস পরিশোধ করা হবে।
সূত্র মতে, দেশে বর্তমানে ৯ হাজার ৬১৬টি কল-কারখানার রয়েছে। এর মধ্যে রবিবার (১৬ এপ্রিল) পর্যন্ত শ্রমিকদের ঈদের বোনাস দিয়েছে মাত্র ২৬৬৫টি কারখানায়। অর্থাৎ ৬ হাজার ৯৫১টি কারখানায় বোনাস হয়নি। প্রায় ৭ হাজার কারখানায় শ্রমিকদের বোনাস দেওয়া হয়নি। এখনো বোনাস না দেয়নি এমন কারখানার মধ্যে বিজিএমইর সদস্যভুক্ত প্রতিষ্ঠান বেশি। এ খাতের ১৬৩১টির মধ্যে বোনাস পেয়েছে মাত্র ৩৮৪টি কারখানার শ্রমিক। বাকি ১২৪৭টি কারখানার শ্রমিকরা বোনাস পায়নি। যা শতাংশের হিসেবে ৭৬ দশমিক ৪৬ শতাংশ।
একইভাবে বিকেএমইএর ৭০০টির মধ্যে বোনাস পায়নি ৪৪৮টির। যা শতাংশের হিসেবে ৬৪ শতাংশ। বিটিএমএ ৩৫৮টির মধ্যে বোনাস হয়নি ২৬৬টির। যা শতাংশের হিসেবে ৭৪ দশমিক ৩০ শতাংশ। বেপজার ৩৪৫টি কারখানার মধ্যে বোনাস হয়নি ২০০টির। যা শতাংশের হিসেবে ৫৭ দশমিক ৯৭ শতাংশ।
অপরদিকে পাটকল খাতের ৮৩টি কল-কারখানার মধ্যে ৬৬টির বোনাস পায়নি শ্রমিকরা। এছাড়াও অন্যান্য খাতের ৬ হাজার ৪৯৯টি কল-কারখানার মধ্যে বোনাস হয়নি ৪ হাজার ৭২৪টির। সব মিলে ৬ হাজার ৯৫১টি কারখানায় বোনাস হয়নি। এ বিষয়ে তৈরি পোশাক মালিকদের প্রধান সংগঠন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, বেতন পরিশোধ করা হয়েছে ঈদের ছুটির আগেই বোনাসও দেবে কারখানা মালিকরা। আশা করছি, কোনো কারখানার মালিকই বোনাস না দিয়ে ঈদের ছুটিতে যাবে না।
নিটওয়্যার কারখানা মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, বেতন বোনাস দেওয়া মালিকদের দায়িত্ব, এতো মধ্যে বেতন সব কারখানাগুলোতে পরিশোধ করা হয়েছে। এখন বোনাস দেওয়া শুরু হয়েছে। ছুটির আগেই বোনাস দেওয়া হবে। গার্মেন্টস শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক জলি তালুকরার বলেন, ঈদ উপলক্ষে সরকারি ছুটি হচ্ছে ১৯ এপ্রিল থেকে। তাই কারখানা মালিকদের কাছে আমাদের দাবি ছিল ১৮ এপ্রিলের মধ্যে বেতন ও বোনাস দিয়ে দেওয়ার জন্য। তিনি বলেন, এরপর ব্যাংক বন্ধ থাকবে ফলে শ্রমিকদের জন্য সমস্যার সৃষ্টি হবে।