জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের করা মামলায় তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য আজ রোববার দিন ধার্য রয়েছে। ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামানের আদালতে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। মামলায় তারেক ও জোবাইদা পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি রয়েছে।
এর আগে গত ২৯ মার্চ অভিযোগ গঠনের জন্য দিন ধার্য ছিল। তবে পলাতক তারেক ও জোবাইদার পক্ষে আইনজীবী নিয়োগের জন্য আবেদন করা হয়।
দুদকের আইনজীবী মীর আহমেদ আলী সালাম বলেন, পলাতক আসামির পক্ষে আইনজীবী নিয়োগ করে শুনানির কোনো সুযোগ নেই। পরে আদালত আজ ৯ এপ্রিল এ মামলার অভিযোগ গঠন শুনানি ও আইনজীবী নিয়োগের বিষয়ে শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন।
এর আগে গত ১৯ জানুয়ারি ক্যান্টনমেন্ট থানার ওসি আসামি তারেক ও জোবাইদার কোনো মালামাল পাননি বলে আদালতে একটি প্রতিবেদন দাখিল করেন। এরপর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামানের আদালত মামলার পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে তাদের আদালতে হাজির হতে গেজেট প্রকাশের নির্দেশ দেন। আসামি হাজির না হওয়ায় গত ৬ ফেব্রুয়ারি আদালত অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য ২৯ মার্চ দিন ধার্য করেন।
২০২২ সালের ১ নভেম্বর আদালত পলাতক তারেক ও জোবাইদার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। গত ৫ জানুয়ারি আদালত গ্রেপ্তার পরোয়ানার তামিল প্রতিবেদন গ্রহণ করেন। এরপর তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার আদেশ দেন আদালত। একই সঙ্গে ১৯ জানুয়ারি অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ঘোষিত আয়ের বাইরে ৪ কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার মালিক হওয়া এবং সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কাফরুল থানায় এ মামলা করে দুদক। মামলায় তারেক রহমান, জোবাইদা রহমান ও তার মা অর্থাৎ তারেক রহমানের শাশুড়ি ইকবাল মান্দ বানুকে আসামি করা হয়।
২০০৮ সালে তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। এরপরই মামলা বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন জোবাইদা। ওই বছরই এ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। এর বিরুদ্ধে আপিল করলে আপিল বিভাগ হাইকোর্টের আদেশ বহাল রাখেন। এ সংক্রান্ত চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০১৭ সালের ১২ এপ্রিল হাইকোর্ট জোবাইদার করা মামলা বাতিলের আবেদন খারিজ (রুল ডিসচার্জ) করে রায় দেন। একই সঙ্গে ওই মামলায় আট সপ্তাহের মধ্যে জোবাইদাকে বিচারিক আদালতে উপস্থিত হতে নির্দেশ দেওয়া হয়। উচ্চ আদালতের এ খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে ওই বছরই লিভ-টু-আপিল করেন জোবাইদা। এরপর প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ লিভ-টু-আপিল খারিজ করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল রাখেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।