ঢাকাশনিবার , ৮ এপ্রিল ২০২৩
  • অন্যান্য

হাওয়ায় মিলিয়ে গেলেন যেনো মেলানিয়া ট্রাম্প

অনলাইন ডেস্ক
এপ্রিল ৮, ২০২৩ ৪:১২ অপরাহ্ণ । ৯৭ জন
ছবি: সংগৃহীত

নয় দিন আগে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প জানলেন তার বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ গঠন করা হচ্ছে। ওই ঐতিহাসিক ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পর স্ত্রী মেলানিয়া ট্রাম্পকে নিয়ে ডিনারে গিয়েছিলেন তিনি। ফ্লোরিডার মার-এ-লাগো রিসোর্টের একটি রেস্টুরেন্টে সেদিন একসঙ্গে ডিনার করতে দেখা যায় এই দম্পতিকে। এসময় পরিপাটি এবং অভিজাত লাল পোশাক পরেছিলেন মেলানিয়া। তবে ওই দিনের পর এই সাবেক ফার্স্ট লেডি যেনো হাওয়ায় মিলিয়ে গেছেন!

গত এক সপ্তাহ ডনাল্ড ট্রাম্পের জীবনের সবথেকে স্মরণীয় সময়গুলোর একটি হয়ে থাকবে। তিনি ফ্লোরিডা থেকে নিউ ইয়র্কে উড়ে গেছেন, আত্মসমর্পণ করেছেন এবং আদালতের শুনানিতে উপস্থিত হয়েছেন। পর্ন তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসের মুখ বন্ধে এক লাখ ৩০ হাজার ডলার প্রদান ইস্যুতে ৩৪টি অভিযোগ আনা হয়েছে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে। তবে এই গোটা সময়ে তার স্ত্রীকে দেখা যায়নি তার সঙ্গে। নিজের স্বামীর এই কঠিন সময়ে তার পাশে থেকে মেলানিয়া বিশ্বকে শক্তিশালী বার্তা দিতে পারতেন।

 

 

এরপর ট্রাম্প যখন নিউ ইয়র্কের ঝামেলা শেষ করে ফ্লোরিডায় ফিরলেন, তখনও দেখা মিললো না মেলানিয়ার। তিনি রীতিমতো অদৃশ্য হয়ে আছেন।

ফ্লোরিডায় ফিরেই এক জ্বালাময়ী বক্তৃতা দেন ট্রাম্প। এতে তিনি তার ‘শত্রুদের’ সরাসরি আক্রমণ করে কথা বলেন। যদিও তিনি তার পরিবার ও ব্যবসার কথা বক্তৃতায় এনেছেন, তবে আলাদা করে মেলানিয়ার কথা নেই কোথাও। ট্রাম্প বলেন, আমি একটি অসাধারণ ব্যবসা ও পরিবার তৈরি করেছি। এসময় তার পরিবারের অন্য সদস্যরা সামনে উপস্থিত ছিল। তার সন্তান ডনাল্ড ও এরিক এবং মেয়ে ইভাংকা ও টিফ্যানি সবার নাম ধরে কথা বলেন ট্রাম্প। কিন্তু মেলানিয়ার বিষয়ে একটি শব্দও উচ্চারণ করেননি তিনি।

 

২০২১ সালে হোয়াইট হাউস ছাড়ার পর ফ্লোরিডার সমুদ্র তীরবর্তী ওই বাড়িতেই থাকেন ট্রাম্প ও মেলানিয়া। তবে ডেইলি মেইলের দাবি, গত কয়েক দিনে ওই বাড়িতে মেলানিয়ার হিলের শব্দ পাননি কেউ। তাছাড়া সেখানের স্পা ক্লাবেও যাচ্ছেন না তিনি। অথচ এমনিতে দিনে দুইবার সেখানে যেতেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের ফার্স্ট লেডি এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট মিরা গুতিন বলেন, তিনি এখন কোথায় আছেন তা আমরা কেউ জানি না। তবে এর আগেও ট্রাম্পের অন্য সম্পর্কের কথা মিডিয়ায় এসেছে, মেলানিয়া কখনও তাকে ছেড়ে যাননি। তবে তিনি হয়ত পুরো ঘটনাটি নিয়ে বিব্রত এবং হতাশ। তাই এই বিষয়ে ট্রাম্পকে সমর্থন দিতে চাইছেন না তিনি।