অর্গানাইজেশন অব দ্য পেট্রোলিয়াম এক্সপোর্টিং কান্ট্রিজের (ওপেক) সদস্য দেশগুলোর মধ্যে শুধু সৌদি আরবই দিনে পাঁচ লাখ ব্যারেল তেল উৎপাদন কমাবে। এছাড়া ইরাক কমাবে দুই লাখ ১১ হাজার ব্যারেলের তেল উৎপাদন। কুয়েত, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং আলজেরিয়াসহ ওপেকের সহযোগী সদস্যরাও উৎপাদন কমাবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই সিদ্ধান্তকে অবাঞ্ছিত বলে আখ্যা দিয়েছে।
এদিকে বিশ্বের তেল উৎপাদনকারী দেশগুলোর সংস্থা ওপেক প্লাস ঘোষণা দিয়েছে যে, নতুন করে তারা দৈনিক দশ লাখের বেশি ব্যারেল তেল উৎপাদন কমাবে। রোববারের এই ঘোষণার পরই সোমবার কমে গেছে সোনার দাম। এর ফলে মুদ্রাস্ফীতির বিষয়ে আরও উদ্বেগ দেখা দিতে পারে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে রয়টার্স।
রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, সোমবার স্পট গোল্ডের দাম ০.৮ শতাংশ কমে প্রতি আউন্স (২৮.৩৪ গ্রাম) বিক্রি হচ্ছে ১৯৫১ ডলার। এটি এক সপ্তাহের মধ্যে সর্বনিম্ন।
সিটি ইনডেক্সের সিনিয়র মার্কেট বিশ্লেষক ম্যাট সিম্পসন বলেছেন, বিনিয়োগকারীদের অন্য কিছুতে আস্থা ফেরায় সোনার দামের পতন হয়েছে।
ইউএস ভোক্তাদের খরচ ফেব্রুয়ারিতে মাঝারি আকারে বেড়েছে। সিম্পসন যোগ করেছেন, সোনার দাম আউন্স প্রতি ১৯০০ ডলারের নেমে যাওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।
স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বিশ্লেষক সুকি কুপার একটি নোটে বলেছেন যে, কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কগুলোর দ্বারা সোনা কেনা ২০২২ সালের মতো শক্তিশালী নাও হতে পারে।
স্পট সিলভারের দাম ২.১ শতাংশ কমে আউন্সপ্রতি ২৩.৫৬ ডলার, প্লাটিনাম এক শতাংশ কমে ৯৮১.৮৯ ডলার এবং প্যালাডিয়াম ০.৭ শতাংশ কমে ১৪৪৯.৯৪ ডলার হয়েছে।
রোববারের ঘোষণায় ওপেক প্লাস বলেছে যে, দৈনিক দশ লাখ ১৬ হাজার ব্যারেল তেল উৎপাদন কমানো হবে। ওপেক প্লাসের এই সিদ্ধান্তকে আশ্চর্যজনক পদক্ষেপ বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্লেষকরা।
সূত্র: রয়টার্স