প্রায় পাঁচ মাস আগে একটি রাজনৈতিক সমাবেশে বক্তব্য দিচ্ছিলেন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ও দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। এ সময় এক অস্ত্রধারীর স্বয়ংক্রিয় পিস্তল থেকে ছোড়া তিনটি গুলি লাগে তাঁর পায়ে। কিন্তু পুরোপুরি সেরে ওঠার আগেই আবারও প্রচারণায় নেমেছেন তিনি।
সাবেক তারকা ক্রিকেটার থেকে রাজনীতিক বনে যাওয়া ইমরান খান গত শনিবার লাহোরে এক সমাবেশে বক্তব্য দেন। গত নভেম্বরের ওই হামলার পর এই প্রথম কোনো সমাবেশে যোগ দিলেন তিনি। তবে এখনো নিরাপত্তা শঙ্কা কাটেনি তাঁর। বুলেটপ্রুফ স্ক্রিনের পেছনে থেকেই বক্তব্য দিয়েছেন তিনি।
যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম ইনডিপেনডেন্টকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইমরান খান বলেন, এ হত্যাচেষ্টার ফলে তাঁর ডান পায়ের ভীষণ ক্ষতি হয়েছে। দুটি গুলির আঘাত সেরে উঠেছে। কিন্তু তৃতীয় গুলিটির আঘাতে পায়ের নিচের অংশের বড় হাড় ভেঙে যায় এবং নার্ভকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।
সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বুলেটের আঘাতের চেয়েও নার্ভ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার প্রভাব আমাকে বেশি ভোগাচ্ছে। আমি এখনো ঠিকমতো হাঁটতে পারি না। এখনো ডান পায়ের অনুভূতি ঠিকমতো পাই না। এটা দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব, শেষ পর্যন্ত এটা সেরে যাবে বলে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন।’
ইমরান খানের সুস্থ হয়ে ওঠার বিষয়টি চলমান থাকলেও তিনি ও তাঁর দল পিটিআই এখন পুরোপুরি নির্বাচনী আমেজে আছে। ৩০ এপ্রিল দেশটির সবচেয়ে জনবহুল পাঞ্জাব প্রদেশের ভোট হওয়ার কথা ছিল। পাকিস্তানের রাজনীতিতে এই প্রদেশে সরকার গঠনের আলাদা গুরুত্ব রয়েছে।
কিন্তু মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় এবং ইমরান খানের সমর্থনে রাজপথে ব্যাপক জনসমাগম দেখা যাওয়ায় নির্বাচন কমিশন ‘নিরাপত্তা উদ্বেগের’ কথা জানিয়ে অক্টোবর পর্যন্ত ভোট গ্রহণ পিছিয়ে দেয়। ওই সময় পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ারও কথা।
সমাবেশে দেওয়া বক্তব্যে বরাবরের মতো সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, ভয়ভীতি প্রদর্শন এবং গত বছর অনাস্থা ভোটে তাঁকে ক্ষমতাচ্যুত করতে ষড়যন্ত্র করার অভিযোগ আনেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী। তবে পাকিস্তান সরকার এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।