বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি অব্যাহত থাকায় পানিবন্দী মানুষের সংখ্যা কমে আসছে। গতকাল সোমবারের তুলনায় আজ ৩০ হাজারের বেশি পরিবার পানির বন্দিদশা থেকে মুক্ত হয়েছে। তবে বন্যায় নিহত ব্যক্তির সংখ্যা আরও ৪ জন বেড়ে ২৭ জন হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী রেজা।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এখন পর্যন্ত ১১টি জেলার ৭৪টি উপজেলা বন্যাপ্লাবিত। জেলাগুলো হলো ফেনী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, কক্সবাজার, খাগড়াছড়ি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, লক্ষ্মীপুর, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ ও সিলেট।
বন্যায় গতকাল ১২ লাখ ৩৮ হাজার ৪৮টি পরিবার পানিবন্দী অবস্থায় ছিল। তবে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি অব্যাহত থাকার পাশাপাশি পানিবন্দী মানুষের সংখ্যাও কমেছে। সর্বশেষ প্রাপ্ত হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী ৩০ হাজার ৬১৯টি পরিবারের ঘরবাড়ি থেকে পানি নেমে গেছে। এখন ১২ লাখ ৭ হাজার ৪২৯টি পরিবার পানিবন্দী হয়ে আছে।
আজ ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৬ লাখ ১৯ হাজার ৩৭৫ জন, যা গতকাল পর্যন্ত ছিল ৫৭ লাখ ১ হাজার ২০৪। আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে ৩ হাজার ৮৮৬টি। এগুলোতে ৫ লাখ ৯ হাজার ৭২৮ জন মানুষকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ৩৪ হাজার ৪২১টি গবাদিপশুকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে।
দেশের বিভিন্ন জেলায় বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৭ জনে দাঁড়িয়েছে। এ ছাড়া মৌলভীবাজারে দুজন নিখোঁজ আছেন। মৃত ব্যক্তিদের মধ্যে ১০ কুমিল্লায়, চট্টগ্রামে ৫ জন, নোয়াখালীতে ৫ জন, কক্সবাজারে ৩ জন, ফেনীতে ১ জন, খাগড়াছড়িতে ১ জন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১ জন ও লক্ষ্মীপুরে ১ জন
সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের মহাপরিচালক (অপারেশনস ও পরিকল্পনা) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আলিমুল আমিন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই সমন্বয়ক হাসিবুল ইসলাম, লুৎফর রহমান প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সরকারি-বেসরকারিসহ সব পর্যায় থেকে ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত আছে। বন্যা আক্রান্ত জেলাগুলোতে স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার জন্য কয়েকটি ফিল্ড হাসপাতাল প্রস্তুত করা হয়েছে।