আজ রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জিরো পয়েন্ট চত্বরে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ডিসিপ্লিনের (বিভাগ) পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী সড়ক অবরোধ করে রেখেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, অন্য শিক্ষকসহ পুলিশের কর্মকর্তারা শিক্ষার্থীদের সড়ক ছেড়ে দিতে অনুরোধ করছেন। পরে দুপুর ১২টার দিকে শিক্ষার্থীরা সড়ক থেকে সরতে রাজি হন।
খুলনার জিরো পয়েন্ট এলাকা দিয়ে একটি সড়ক সাতক্ষীরা, আরেকটি সড়ক ফুলতলা হয়ে যশোর, আরেকটি সড়ক রূপসার খানজাহান আলী সেতু হয়ে ঢাকা ও আরেকটি সড়ক খুলনা শহরে প্রবেশ করে।
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, আজ সকালে পাইকগাছা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের এক শিক্ষার্থী তাঁর মা ও বোনকে নিয়ে খুলনায় আসছিলেন। পথিমধ্যে বাসচালকের সহকারী ও সুপারভাইজারের সঙ্গে তাঁর বাগ্বিতণ্ডা হয়। এ কথা সহপাঠীদের জানালে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কয়েক শিক্ষার্থী জিরো পয়েন্ট এলাকায় এসে অবস্থান নেন। বাসটি জিরো পয়েন্টে পৌঁছালে এ নিয়ে বাসচালকের সহকারী ও সুপারভাইজারের সঙ্গে কথা বলতে গেলে অন্য শ্রমিকেরা এসে শিক্ষার্থীদের মারধর করেন। এ খবর ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়লে কয়েক শ শিক্ষার্থী এসে জিরো পয়েন্ট এলাকার অবস্থান নিয়ে সব কটি সড়কের প্রবেশমুখ বন্ধ করে দেন।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী নাঈমুর রহমান বলেন, বাসশ্রমিকদের হামলায় তিন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। এর প্রতিবাদেই তাঁরা সড়ক অবরোধ করছেন।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) সোনাডাঙ্গা জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার আবু নাসের প্রথম আলোকে বলেন, শিক্ষার্থীদের অভিযোগের ভিত্তিতে দুই পরিবহন শ্রমিককে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীরা নিশ্চিত করেছেন, ওই দুজনই তাঁদের মারধর করেছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অভিযোগ দিলে আটক দুজনের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।