fgh
ঢাকাশনিবার , ২৮ অক্টোবর ২০২৩
  • অন্যান্য

কাঁদানে গ্যাসে মঞ্চ ছাড়লেন বিএনপির নেতারা

অনলাইন ডেস্ক
অক্টোবর ২৮, ২০২৩ ৪:১১ অপরাহ্ণ । ১৪৫ জন

পুলিশের ছোঁড়া কাঁদানে গ্যাসের ধোঁয়া ও সাউন্ড গ্রনেডের বিকট শব্দের মধ্যে রাজধানীর নয়া পল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশের মঞ্চ থেকে চলে যেতে বাধ্য হন কেন্দ্রীয় নেতারা। কাঁদানে গ্যাসের কারণে সমাবেশস্থলে কারও পক্ষে টিকে থাকা সম্ভব ছিল না। আজ শনিবার বেলা তিনটার দিকে নয়াপল্টন এলাকায় এমন পরিস্থিতি ছিল।

আর বেলা সাড়ে তিনটার মধ্যে নয়াপল্টনের সমাবেশস্থল পুরো ফাঁকা হয়ে যায়। এলাকাটি চলে যায় পুলিশের নিয়ন্ত্রণে।

এর আগে বেলা দুইটার দিকে মহাসমাবেশস্থলের মঞ্চ থেকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নেতা–কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, কারও উসকানিতে পা দেবেন না, দয়া করে বসে যান। শান্তিপূর্ণ সমাবেশ নস্যাৎ করতে চায় তারা (সরকার)।

মির্জা ফখরুল যখন এই আহ্বান জানাচ্ছিলেন, তখন কাকরাইলের দিক থেকে কাঁদানে গ্যাসের ধোয়া আসছিল। তবে মহাসমাবেশের কার্যক্রম বন্ধ করা হয়নি। এ সময় মঞ্চ থেকে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম নেতা–কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, দু-একটা পটকায় ভয় পাবেন না। গুলি হলে, হবে।

এর পর বিএনপি নেত্রী সেলিমা রহমান বক্তব্য দেন। তাঁর বক্তব্যের পর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বক্তব্য দেওয়া শুরু করেন। তাঁর বক্তব্যের শেষ দিকে এসে মাইক বন্ধ হয়ে যায়। তখন বেলা আড়াইটা। এর আগে বক্তব্যে তিনি বলেন, শান্তিপূর্ণ জনসভায় গোলাগুলি করছে তারা।

আমীর খসরুর বক্তব্যের সময়ও বিকট শব্দ শোনা যাচ্ছিল। কাকরাইলের দিক থেকে এই শব্দ আসছিল তখনো মহাসমাবেশস্থলে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হয়। এক পর্যায়ে কাঁদানে গ্যাসর ধোঁয়া বিএনপির মঞ্চের দিকে আসতে থাকে। বেলা পৌনে তিনটায় একটি ভ্যানে করে রক্তাক্ত এক ব্যক্তিকে বিএনপির মঞ্চের সামনে আনা হয়।

তখন উত্তেজনা আরও বেড়ে যায়। এক পর্যায়ে বিএনপি নেত্রী নিপুণ রায়, আমিনুল হক, ইশরাক হোসেনসহ নেতাকর্মীরা লাঠি-সোঁটা হাতে কাকরাইলের দিকে যেতে থাকেন। তখন সমাবেশস্থলে কাঁদানে গ্যাস ছড়িয়ে পড়ে। এমন পরিস্থিতিতে ধীরে ধীরে মঞ্চ ছাড়তে বাধ্য হন নেতা-কর্মীরা।বিকেল পৌনে চারটির দিকেও শান্তিনগর এলাকা থেকে সাউন্ড গ্রনেডের বিকট শব্দ আসছিল।