ঢাকাসোমবার , ১৮ মার্চ ২০২৪
  • অন্যান্য

হঠাৎ ৩৩ মিনিটে ২১ মর্টার শেলের বিস্ফোরণ, কাঁপল

অনলাইন ডেস্ক
মার্চ ১৮, ২০২৪ ১১:৩৮ পূর্বাহ্ণ । ২১ জন

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে গত তিন দিন থেমে থেমে গোলাগুলি চললেও মর্টার শেলের বিস্ফোরণ ঘটেনি। কিন্তু গতকাল রোববার রাত ৯টা ২৫ মিনিট থেকে ৯টা ৫৮ মিনিট পর্যন্ত ৩৩ মিনিটে ২১টি মর্টার শেলের বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে এপারের টেকনাফ সীমান্তের কয়েকটি গ্রাম। রাখাইন রাজ্যের জেলা শহর মংডু টাউনশিপের কিছুটা উত্তরে নাকপুরা এলাকায় হঠাৎ রাতে মর্টার শেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। তবে গতকাল রাত ১০টার পর থেকে আজ সোমবার সকাল ১০টা পর্যন্ত আর বিস্ফোরণের শব্দ এপারের লোকজন শুনতে পাননি।

নাকপুরা এলাকার বিপরীতে (নাফ নদীর এপারে) টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের রাখাইনপল্লি চৌধুরীপাড়া ও ফুলের ডেইল গ্রাম। রাতে ৩৩ মিনিটে ২১টি মর্টার শেলের বিকট শব্দ এপারের লোকজনের মনে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে জানিয়ে হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান রাশেদ মোহাম্মদ আলী বলেন, দেড় মাসের বেশি সময় ধরে রাখাইন রাজ্যে সরকারি বাহিনীর সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়েছে দেশটির সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মি (এএ)। এত দিন রাত ও দিনে দুই পক্ষের মধ্যে লড়াই চলেছে। উভয় পক্ষ থেকে গোলাগুলি, মর্টার শেল, গ্রেনেড বোমা নিক্ষেপ করা হয়েছে। তাতে লন্ডভন্ড হয়ে পড়ে মংডু টাউনশিপের অভ্যন্তরীণ যোগাযোগব্যবস্থা।

ইউপি চেয়ারম্যান রাশেদ মোহাম্মদ আলী বলেন, গত ছয় দিন মংডুর আশপাশের গ্রামগুলোতে দিনের বেলায় গোলাগুলি-মর্টার শেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেনি। তবে রাতের বেলায় কয়েকটি গ্রামে থেমে থেমে গুলির শব্দ শোনা যেত। কিন্তু গতকাল রাতে হঠাৎ একসঙ্গে ২১টি মর্টার শেলের বিস্ফোরণ এপারের লোকজনকে ভাবিয়ে তুলেছে।

সীমান্তের একাধিক সূত্র জানায়, গতকাল সন্ধ্যায় আরাকান আর্মি স্থলপথে নাকপুরা এলাকার বিজিপি সেক্টর ঘিরে ফেলে এবং হামলা চালায়। এরপর বিজিপি সদস্যরাও পাল্টা জবাব দেয়। তখন রাত ৯টা ২৫ মিনিট থেকে টানা ৩৩ মিনিট মর্টার শেলের বিস্ফোরণ ঘটে। ধারণা করা হচ্ছে, আরাকান আর্মির অবস্থানের ওপর মর্টার শেলগুলো নিক্ষেপ করে সরকারি বাহিনী।

টেকনাফ পৌরসভার প্যানেল মেয়র মুজিবুর রহমান বলেন, রাতের বেলায় বিকট শব্দের মর্টার শেলের বিস্ফোরণে কেঁপে উঠে টেকনাফ পৌরসভার জালিয়াপাড়া, চৌধুরীপাড়া, কুলালপাড়া, ডেইলপাড়া, হাঙ্গারডেইলসহ অন্তত ১৩টি গ্রাম।

টেকনাফ ২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, রাখাইন পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। অনুপ্রবেশ ঠেকাতে নাফ নদী ও সীমান্তে বিজিবির টহল বাড়ানো হয়েছে।