ঢাকাশনিবার , ১৬ মার্চ ২০২৪
  • অন্যান্য

যৌন হয়রানির অভিযোগে দুই শিক্ষক বরখাস্ত

অনলাইন ডেস্ক
মার্চ ১৬, ২০২৪ ১২:০০ অপরাহ্ণ । ১৯ জন

ময়মনসিংহের ত্রিশালে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে যৌন হয়রানি ও হেনস্তা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টার ঘটনায় উদ্ভূত পরিস্থিতি সামাল দিতে দুই শিক্ষককে বরখাস্ত করেছে প্রশাসন। পাশাপাশি এ ব্যাপারে তদন্ত কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এর পর শিক্ষার্থীরা আন্দোলন থেকে সরে এসেছেন।

গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে এক অফিস আদেশে জানানো হয়, মানবসম্পদ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাজন সাহাকে চূড়ান্তভাবে বরখাস্ত ও বিভাগীয় প্রধান রেজোয়ান আহমেদ শুভ্রকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
জানা যায়, অনৈতিক প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় এক ছাত্রীকে অনুপস্থিত দেখিয়ে পরীক্ষায় জরিমানা আদায়, নম্বর কম দেওয়া ও থিসিস পেপার আটকে যৌন হয়রানি করার অভিযোগ ওঠে মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাজন শাহার বিরুদ্ধে। এর বিচার দাবিতে ৪ মার্চ আন্দোলন শুরু করে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিচার দাবি করেন ওই বিভাগের ১৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা।

গত ৫ মার্চ ট্রেজারার ড. আতাউর রহমানকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কিন্তু পরদিন আন্দোলনকারীরা মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেন।
এ সময় তাঁরা ওই বিভাগের শিক্ষকদের নেমপ্লেট ভাঙচুর করে যৌন হয়রানির ঘটনায় বিভাগীয় প্রধানের প্রশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ তুলে তাঁকেও তদন্তের আওতায় আনার দাবি জানান। পরে বিভাগীয় প্রধান রেজোয়ান আহমেদ শুভ্রকেও তদন্তের আওতায় নেয় প্রশাসন।

এর পরও আন্দোলন অব্যাহত রেখে বিক্ষোভ মিছিল করে অশালীন স্লোগান দেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় আন্দোলনকারীরা দুই শিক্ষকের কুশপুত্তলিকা তৈরি করে জুতার মালা পরান।
এ নিয়ে নানা সমালোচনা সৃষ্টি হলে শিক্ষার্থীদের উসকে দিয়ে শিক্ষকদের ‘সম্মান হত্যা’ করা হয়েছে বলে দাবি করেন ওই বিভাগের শিক্ষকরা। এর প্রতিবাদে গত ১০ মার্চ সাধারণ শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে একটি খোলা চিঠি প্রকাশ করে তালাবদ্ধ বিভাগের সামনে মানববন্ধন করেন ১১ শিক্ষক।

গত সোমবার বিভাগের শিক্ষকরা উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করে তিন দফা দাবি জানিয়েছেন। দাবিগুলো হলো—যৌন হয়রানির ঘটনায় তদন্তপূর্বক বিচার, কর্মপরিবেশ সৃষ্টি এবং ভাঙচুরের ঘটনার তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ।পরদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে উপাচার্য কর্তৃক সিন্ডিকেটের অনুমোদন সাপেক্ষে দুই শিক্ষককে বাধ্যতামূলক ছুটি প্রদান করা হয়।

রেজোয়ান আহমেদ শুভ্রকেও বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। কিন্তু শিক্ষার্থীরা দুই শিক্ষকের স্থায়ী বহিষ্কারের দাবিতে ভিসি, প্রক্টর ও রেজিস্ট্রারকে ভবনে রেখে প্রশাসনিক ভবনে ও প্রক্টরের অফিসে তালা দিয়ে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করেন। পরে সিন্ডিকেট সভা আহ্বান করে শিক্ষকদের বিচারের ব্যবস্থা করলে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন স্থগিত করেন।