বিমান বিধ্বস্ত হয়ে রাশিয়ার ভাড়াটে যোদ্ধা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ওয়াগনার গ্রুপের প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিনের মৃত্যু নিয়ে তৈরি হয়েছে রহস্য। মার্কিন গোয়েন্দাদের দাবি পুতিনের নির্দেশেই হত্যা করা হয়েছে প্রিগোজিনকে। তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে রাশিয়া। খবর আল-জাজিরার।
প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, ক্রেমলিন প্রিগোজিনকে মেরে ফেলার নির্দেশ দিয়েছে- এ কথা ‘ডাহা মিথ্যা’।
শুক্রবার (২৫ আগস্ট) সাংবাদিকদের সঙ্গে একটি কনফারেন্স কলে রুশ প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র বলেন, মর্মান্তিক উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় প্রিগোজিনের মৃত্যু নিয়ে অনেক জল্পনা-কল্পনা হয়েছে।
পেসকভ বলেন, পশ্চিমে অবশ্যই এসব জল্পনা–কল্পনা একটি নির্দিষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি থেকে এসেছে। এটা একটা ডাহা মিথ্যা।
রুশ প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র বলেন,যখন আমরা এ বিষয়ে কথা বলব, তখন অবশ্যই আমাদের শুধু তথ্য–উপাত্ত ধরে কথা বলা উচিত।
দিমিত্রি পেসকভ বলেন, এই মুহূর্তে তাদের হাতে বেশি তথ্য নেই। যেসব তথ্য আছে, সেগুলো তদন্তে খতিয়ে দেখতে হবে। সেই তদন্ত এখন চলছে।
এদিকে পুতিনের ঘনিষ্ঠ মিত্র বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কোও রাশিয়ার পক্ষে কথা বলেছেন। তিনি বলেন,আমি পুতিনকে চিনি। সে হিসাব রাখে, বেশ শান্ত এবং ধীর গতিসম্পন্ন। আমি কল্পনাও করতে পারি না পুতিন এটা করেছে। তাকে দোষ দেয়া হচ্ছে। এটা খুবই খারাপ ও অপেশাদার আচরণ।
বুধবার (২৩ আগস্ট) সন্ধ্যায় প্রিগোজিনের ব্যক্তিগত বিমান ‘এমব্রেয়ার লিগেসি’ রাশিয়ার রাজধানী মস্কো থেকে সেন্ট পিটার্সবার্গ শহরে যাওয়ার পথে বিধ্বস্ত হয়। বিমানটিতে ক্রু সদস্যসহ মোট ১০ জন যাত্রী ছিলেন। দুর্ঘটনায় তারা সবাই নিহত হয়েছেন।
এ ঘটনায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের হাত থাকতে পারে, এমন মন্তব্য করেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। দুর্ঘটনার পর যুক্তরাষ্ট্রের নেভাদায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন ইঙ্গিত দেন। তার এমন বক্তব্য ছাড়া পশ্চিমা দেশগুলোতেও প্রিগোজিনের মৃত্যু নিয়ে নানা জল্পনা–কল্পনা চলছে।
অন্যদিকে প্রিগোজিনের মৃত্যুর পরের দিন বৃহস্পতিবার টেলিভিশনে দেয়া এক বক্তব্যে পুতিন বলেন, কুঝেনকিনো অঞ্চলে বিমান দুর্ঘটনায় যাদের মৃত্যু হয়েছে, তাদের সবার পরিবারের সদস্যদের প্রতি আমি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। এটা খুবই হৃদয়বিদারক একটি দুর্ঘটনা ছিল।