ঢাকারবিবার , ১৮ জুন ২০২৩
  • অন্যান্য

কোরবানি ঈদের বাহানায় বেড়েছে আদা রসুনের দাম

অনলাইন ডেস্ক
জুন ১৮, ২০২৩ ১:১৯ অপরাহ্ণ । ৫২ জন
সংগৃহীত:ছবি

কোরবানি ঈদের অজুহাতে বেড়েছে আদা রসুনের দাম। কোরবানি ঈদে স্বাভাবিকভাবেই আদা, রসুন, পেঁয়াজের চাহিদা অন্য সময়ের থেকে বেশি থাকে। কিন্তু ঈদ না আসতেই নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নাগালের বাইরে নিয়ে গেছেন ব্যবসায়ীরা। দাম নিয়ে ব্যবসায়ীদের কাছে নেই কোনও সদুত্তর। আর খুচরা ব্যবসায়ীরা অভিযোগ ছুড়ছেন পাইকারি ব্যবসায়ীদের দিকে। শুক্রবার (১৬ জুন) সরেজমিনে মিরপুর ১ ও ২ নম্বরের কাঁচা বাজার, পাড়া-মহল্লায় দোকান ও ভ্রাম্যমাণ বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে আলু, পেঁয়াজ, আদা ও রসুনের দরদাম। এসব এলাকার পাড়া-মহল্লায় ভ্যান গাড়িতে ফেরি করে আদা ৩৬০ টাকা, দেশি রসুন ১৪০ থেকে ১৬০, ভারতীয় রসুন ১৮০ ও পেঁয়াজ ৪০; দেশি পেঁয়াজ ৮০ এবং আলু ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। কয়েক দিন পরে ঈদুল আজহা। দেশজুড়ে চলছে কোরবানির পশু কেনাবেচার প্রস্তুতি। এরই মধ্যে বাড়তে শুরু করেছে নিত্যপণ্যের দাম। ব্যবসায়ীয়া উচ্চমূল্য হাঁকিয়ে বিক্রি করছেন দরকারি এসব পণ্য। যার মধ্যে একটি হলো আদা। পাইকারি বাজার থেকে এই আদা যখন পাড়া-মহল্লায় মুদি দোকানে পৌঁছায়, তখন তার পার্থক্য হয়ে যায় ১০০ টাকা। মিরপুর ১ এলাকার মোল্লা জেনারেল স্টোরের বিক্রেতা জানান, তিনি আলু ৪০ টাকা, দেশি পেঁয়াজ ৮০, ভারতীয় পেঁয়াজ ৫০ ও রসুন ১৮০ এবং আদা ৩৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন। জানতে চাইলে তিনি বলেন, বেশি দামে কিনে আনতে হয়েছে তাকে। ভ্রাম্যমাণ আলু-পেঁয়াজ বিক্রেতা মো. ইয়াসিন বলেন, দেশি পেঁয়াজ তো কমে বিক্রি করতে পারছি না। এখনও আমি ৮০ টাকা করেই বিক্রি করছি। আমার কেনা পড়েছে কেজি ৭০ টাকা করে। প্রতি কেজিতে দুই টাকা খরচ যোগ করে ৮০ টাকায় বিক্রি করছি। গত শুক্রবার পাইকারি বাজারে মান ও আকারভেদে দেশি রসুন ৯০ থেকে ১২০ টাকা এবং ভারতীয় রসুন ১২০ থেকে ১৩০ টাকার মধ্যে বিক্রি হয়েছে। এ ছাড়া দেশি পেঁয়াজ ৬২ থেকে ৬৪ টাকা, আলু ৩২ টাকা, আদা ২৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে দেখা যায়, পাইকারি বাজার থেকে পাড়া-মহল্লায় দোকানে আদা পৌঁছাতেই ১০০ টাকার পার্থক্য চলে আসে।
পাইকারি বাজারে আদার দাম কেন এত বেশি, জানতে চাইলে আদার পাইকারি বিক্রেতা মো. রফিক মিয়া বলেন, বাজারে এখন বেশির ভাগই থাইল্যান্ড ও ইন্দোনেশিয়ার আদা বিক্রি হচ্ছে। দেশি কোনও আদা নেই বাজারে, তাই হয়তো দাম বেশি। তিনি আরও বলেন, আমরা তো আসলে আনি শ্যামবাজার থেকে, তারাই মেইন ব্যবসায়ী।

এই বাজারের আরেক পাইকারি ব্যবসায়ী বলেন, কাঁচা পণ্যের দাম সব সময়ই ওঠানামা করে। আজ যে আদার দাম ২৬০ টাকা, কালকে সেটার দাম ১৫০ টাকায় নেমে যেতে পারে। কাঁচা বাজারের খুচরা ব্যবসায়ী সুমন জানান, তিনি আজ আদা ৩০০ টাকা, দেশি রসুন ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা, ভারতীয় পেঁয়াজ ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, রসুন ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা; দেশি পেঁয়াজ ৭০ থেকে ৮০ টাকা, আলু ৪০ টাকা দামে বিক্রি করছেন।
তিনি আরও বলেন, আদার দাম এখন বেশি কারণ হচ্ছে সিন্ডিকেট। সিন্ডিকেট করে তারা আদা আটকে রেখেছিল। এখন আমি বিক্রি করতে গেলে কত আদা যে নষ্ট বের হয়। এই নষ্ট আদা তো আমার লস করতেছে। আমি তো আর এগুলো বিক্রি করতে পারি না। আরেক খুচরা বিক্রেতা আনোয়ার বলেন, আদার দাম এখন বেশিই চলছে। আসলে আমাদের কেনা বেশি, তাই আমরা বিক্রিও করি বেশি দামে। বাজার করতে আসা আমিনুর রহমান বলেন, বাজারে সবকিছুর দামই বেশি। কম দামি বলতে কিছু নেই। আদার দাম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কোরবানি ঈদে এমনিতেই আদা, রসুন, পেঁয়াজের চাহিদা বেশি থাকে। তাই এসব অত্যধিক দামে বিক্রি হচ্ছে।