ঢাকাবৃহস্পতিবার , ২৭ জুলাই ২০২৩
  • অন্যান্য

ইবিতে ছাত্রী নির্যাতন; অভিযুক্তদের পুনরায় সাজা নির্ধারণের জন্য ভিসিকে হাইকোর্টের নির্দেশ 

ইবি প্রতিনিধি:
জুলাই ২৭, ২০২৩ ১২:০৪ অপরাহ্ণ । ১১৩ জন
অভিযুক্ত ৫ জন

 ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের গণরুমে অমানবিক ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্ত ৫ জনকে পুনরায় সাজা নির্ধারণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় ভিসিকে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। বুধাবার (২৬ জুলাই) বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ নির্দেশ দেন। এ বিষয়ে আগামী ২৩ আগস্ট প্রতিবেদন দাখিলেরও নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
অভিযুক্ত ৫ শিক্ষার্থী হলেন, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত নেত্রী ও পরিসংখ্যান বিভাগের সানজিদা চৌধুরী অন্তরা, ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের তাবাসসুম ইসলাম, মোয়াবিয়া জাহান, আইন বিভাগের ইসরাত জাহান মীম ও ফাইন আর্টস বিভাগের হালিমা খাতুন উর্মী।
এর আগে গত ১৫ জুলাই সানজিদা চৌধুরী অন্তরাসহ ৫ জনকে ১ বছরের জন্য বহিষ্কারের আদেশ দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয় ভিসি অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালামের নেতৃত্বে ছাত্র শৃঙ্খলা কমিটির বৈঠকে সর্বসম্মতিক্রমে ছাত্র শৃঙ্খলা অর্ডিন্যান্স অনুযায়ী এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ।
এরপর গত ১৯ জুলাই ১ বছরের বহিষ্কার আদেশ বিধিসম্মত হয়নি বলে মন্তব্য করেন হাইকোর্ট। একইসাথে পরবর্তী আদেশের জন্য আজ (২৬ জুলাই) দিন ধার্য করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফুলপরি বলেন, আমি জড়িতদের স্থায়ী বহিষ্কার চাই।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত বহিষ্কৃত ছাত্রলীগ নেত্রী সানজিদা চৌধুরী অন্তরা বলেন, হাইকোর্ট কোন বিধান অনুযায়ী পুনরায় শাস্তি নির্ধারণের বিষয়ে নির্দেশ দিয়েছেন বিষয়টি আমি জানিনা। জানার পর মন্তব্য করবো।
এ বিষয়ে এ্যাডভোকেট গাজী মো. মহসিন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় পক্ষের আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক ছাত্র শৃঙ্খলা কমিটির শাস্তি বলবৎ রাখার আবেদন করেন কিন্তু কোর্ট তা নাকজ করেন। এছাড়া সহানুভূতির বিষয়ে বললে কোর্ট বলেন সহানুভূতি বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীর জন্য ২-১ জনের জন্য না।
প্রসঙ্গত, গত ১১ ও ১২ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের গণরুমে এক নবীন ছাত্রীকে রাতভর নির্যাতন ও বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণের অভিযোগ উঠে শাখা ছাত্রলীগ নেত্রী ও পরিসংখ্যান বিভাগের সানজিদা চৌধুরী অন্তরা, ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের তাবাসসুম ইসলাম, মোয়াবিয়া জাহান, আইন বিভাগের ইসরাত জাহান মীম ও ফাইন আর্টস বিভাগের হালিমা খাতুন উর্মীর বিরুদ্ধে।