ঢাকাশনিবার , ১১ মার্চ ২০২৩
  • অন্যান্য

সৌর বিদ্যুৎপ্রকল্পের স্থান পরিদর্শনে প্রতিমন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক
মার্চ ১১, ২০২৩ ৭:৩২ পূর্বাহ্ণ । ৭৮ জন
সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্পের সম্ভাব্য স্থান পরিদর্শন করেছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ

দেশের একমাত্র উৎপাদনশীল কয়লা খনি, দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি এলাকায় ভাসমান সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্পের সম্ভাব্য স্থান পরিদর্শন করেছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

শুক্রবার (১০ মার্চ) দুপুর ১টায় খনিএলাকার অবনমিত (দেবে যাওয়া) স্থানে সৃষ্ট জলাশয়ে প্রস্তাবিত সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্পের সম্ভাব্য স্থান পরিদর্শন করেন তিনি। এর আগে সকাল পৌঁনে ১২টায় ফুলবাড়ীর পার্শ্ববর্তী উপজেলা পার্বতীপুরে বাংলাদেশ-ভারত ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইন রিসিভ টার্মিনাল পরিদর্শন এবং পৌঁনে ১টায় বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র পরিদর্শন করেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি এলাকায় অবনমিত (দেবে যাওয়া) স্থানে সৃষ্ট বিশাল  জলাশয়ে ভাসমান সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণের পরিকল্পনা করছে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি প্রকল্প কর্তৃপক্ষ। প্রস্তাবিত এই ভাসমান সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে ১৫০ থেকে ২০০ মেগাওয়াড বিদ্যুৎ উৎপাদান হবে। যা দিয়ে উত্তরাঞ্চলে বিদ্যুৎ ঘাটতি অনেকাংশই পূরণ হবে। জাতীয় গ্রিডের ওপর চাপ অনেকটা কমে যাবে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব ড. মো. খায়রুজ্জামান মজুমদার, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার, বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানী লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মো. সাইফুল ইসলাম সরকার, মহাব্যবস্থাপক (জিএম-সারফেস অপারেশন) আবু তাহের মো. নূর-উজ-জামান চৌধুরী,  মহাব্যবস্থাপক (জিএম-মাইন অপারেশন) খান মো. জাফর সাদিক, মহাব্যবস্থাপক (জিএম-এডমিন) মোহাম্মদ সানা উল্লাহ প্রমুখ।

পরে প্রতিমন্ত্রী বিকেল সাড়ে ৪টায় মধ্যপাড়া গ্রানাইট মাইনিং কোম্পানী লিমিটেড (মধ্যপাড়া পাথর খনি) কঠিনশিলা পাথরখনি প্রকল্প পরিদর্শন করেন।

বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানী লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মো. সাইফুল ইসলাম সরকার জানান, বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি এলাকায় ভাসমান সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণের পরিকল্পনা চলছে। এই ভাসমান প্রকল্পের প্রস্তাবিত এলাকা বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী পরিদর্শন করেছেন। এই প্রকল্পে ১৫০ থেকে ২০০ মেগাওয়াড বিদ্যুৎ উৎপাদানের পরিকল্পনা রয়েছে। এটি হলে উত্তরাঞ্চলে বিদ্যুৎ ঘাটতি পূরণ হবে। জাতীয় গ্রিডের ওপর চাপ অনেকটা কমে যাবে।

জানা গেছে, চলতি বছরের ১৮ মার্চ ভারত-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইনের মাধ্যমে ভারত থেকে দিনাজপুরের পার্বতীপুরে জ্বালানি তেল আসবে। এ উপলক্ষে আগামী ১৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকীতে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী।  ইতোমধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষের দিকে। এই প্রকল্প এলাকা পরিদর্শনেই বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ সেখানে আসেন।