ঢাকাসোমবার , ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
  • অন্যান্য

পাকিস্তানে নিত্যপণ্যের দাম ক্রমেই বাড়ছে , মূল্যস্ফীতি ৩৮.৪২ শতাংশ বেড়েছে

admin
ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২৩ ৭:২৫ পূর্বাহ্ণ । ১৯১ জন
পাকিস্তানের বাজারের একটি ছবি । সংগৃহীত

পাকিস্তানে ক্রমেই বেড়ে চলছে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম। চলতি সপ্তাহে বার্ষিক ও সাপ্তাহিক হিসেবে এ ঊর্ধ্বগতি দেখা যায়। বিশেষ করে পেঁয়াজ, মুরগি ও ভোজ্যতেলের দামে এমন উল্লম্ফন দেখা দেয়। শুক্রবার প্রকাশিত সরকারি তথ্যের বরাতে ডনের এক প্রতিবেদনে এমনটা জানা যায়।

দ্রব্যমূল্যের হিসেবে সংবেদনশীল মূল্য নির্দেশক (এসপিআই) মাপকাঠিতে বার্ষিক মূল্যস্ফীতির হার দাঁড়িয়েছে ৩৮ দশমিক ৪২ শতাংশ। গত সপ্তাহে এই হার ছিল ৩৪ দশমিক ৮৩ শতাংশ। পাকিস্তান ব্যুরো অব স্ট্যাটিস্টিক্সের (পিবিএস) দেওয়া তথ্যে এমনটা জানা যায়।

২০২২ সালের সেপ্টেম্বরের পর এটিই সর্বোচ্চ মূল্যবৃদ্ধির ঘটনা। সে সময় এসপিআই মূল্যস্ফীতির পরিমাণ ছিল ৪০ দশমিক ৬ শতাংশ। সাপ্তাহিক হিসেবেও চলতি সপ্তাহে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে ২ দশমিক ৮৯ শতাংশ যা আগের সপ্তাহে ছিল দশমিক ১৭ শতাংশ।

বাজার পর্যালোচনার জন্য নেওয়া ৫১টি পণ্যের মধ্যে দাম বেড়েছে ৩৪টি পণ্যের। এরমধ্যে দাম কমেছে ৫টি পণ্যের। অপরিবর্তিত রয়েছে ১২টি পণ্যের দাম। সরকারি তথ্য অনুসারে, গত বছরের ২৭ অক্টোবরের পর এবারের সাপ্তাহিক মূল্যস্ফীতির পরিমাণ সবচেয়ে বেশি।

চলতি সপ্তাহে গত বছরের তুলনায় পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ৪৩৩ দশমিক ৪ শতাংশ, মুরগির দাম বেড়েছে ১০১ দশমিক ৯ শতাংশ, ডিজেলের দাম বেড়েছে ৮১ দশমিক ৪ শতাংশ, ডিমের দাম বেড়েছে ৮১ দশমিক ২ শতাংশ, ইরি-৬/৯ ধানের দাম বেড়েছে ৭৪ দশমিক ১ শতাংশ, ভাঙা বাসমতি চালের দাম বেড়েছে ৭৩ শতাংশ, পেট্রলের দাম বেড়েছে ৬৯ দশমিক ৯ শতাংশ, কলার দাম বেড়েছে ৬৭ দশমিক ৭ শতাংশ ও মুগ ডালের দাম বেড়েছে ৬৮ শতাংশ।

অন্যদিকে টমেটোর দাম কমেছে ৬৫ দশমিক ৩ শতাংশ, মরিচের গুঁড়ার দাম কমেছে ৭ দশমিক ৪২ শতাংশ ও মাসিক ১৭ হাজার ৭৩২ হাজার রুপির নিচে আয় করা পরিবারগুলোর জন্য বিদ্যুতের দাম কমেছে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ।

গত কয়েক মাসে পাকিস্তানে কয়েক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ মুদ্রাস্ফীতি চলছে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স (সিপিআই) দ্বারা পরিমাপ করা বার্ষিক মুদ্রাস্ফীতির পরিমাণ বেড়েছে ২৭ দশমিক ৫৫ শতাংশ। যা ১৯৭৫ সালের পর সর্বোচ্চ।