ঢাকাশনিবার , ৪ মার্চ ২০২৩
  • অন্যান্য

দিল্লি বিমানবন্দর হয়ে আন্তর্জাতিক বাজারে যাবে বাংলাদেশের পণ্য

অনলাইন ডেস্ক
মার্চ ৪, ২০২৩ ৪:৪২ পূর্বাহ্ণ । ১০২ জন
দিল্লি বিমানবন্দর হয়ে আন্তর্জাতিক বাজারে যাবে বাংলাদেশের পণ্য

দিল্লি বিমানবন্দর হয়ে আন্তর্জাতিক বাজারে যাবে বাংলাদেশের পণ্য। এতে দুই দেশই উপকৃত হবে এবং পরিবহণ খরচও কমে আসবে। দক্ষিণ এশিয়ায় দিল্লি বিমানবন্দরই সবচেয়ে বড় কার্গো হাব। এরইমধ্যে বাংলাদেশ থেকে যাওয়া এই ট্রান্সশিপমেন্ট কার্গোর প্রথম ব্যাচকে শুক্রবার স্বাগত জানিয়েছে দিল্লি বিমানবন্দর। এরফলে আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্য বিক্রিতে সময় এবং খরচ দুটিই কমবে বাংলাদেশের। এ খবর দিয়েছে ইন্ডিয়া টুডে।

গত ৭ই ফেব্রুয়ারি ভারত সরকারের কাছ থেকে এ সংক্রান্ত অনুমোদন পেয়েছে দিল্লি বিমানবন্দর। এর ফলে এখন থেকে দিল্লি বিমানবন্দর বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের কার্গো ট্রান্সশিপমেন্ট হাব হিসেবে কাজ করবে। গত ২৬শে ফেব্রুয়ারি ঢাকা থেকে কার্গোর প্রথম ব্যাচ দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। শুক্রবার তা দিল্লি বিমানবন্দরে পৌঁছায়। রোববার স্পেনের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করবে এগুলো।

৩রা মার্চ দিল্লি বিমানবন্দর থেকে দেয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে উৎপাদিত পণ্য বিদেশে পাঠাতে দিল্লি বিমানবন্দর প্রাণকেন্দ্র হতে চলেছে।

দ্বিপক্ষীয় চুক্তি ও বোঝাপড়ায় বাংলাদেশের তৈরি পোশাক, তাঁত পণ্য, চামড়াজাত দ্রব্য, জুতা, পাটজাত বিভিন্ন পণ্য ও ওষুধ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে আকাশপথে পাঠানোর ক্ষেত্রে দিল্লি হয়ে উঠতে যাচ্ছে নতুন ঠিকানা।

 

ভারতের বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া ভারতকে এয়ার কার্গোর জন্য একটি ট্রান্সশিপমেন্ট হাব হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করছেন। অবস্থানগত কারণে ভারত চাইলেই একটি পরিচিত ট্রান্সশিপমেন্ট হাব হতে পারে বলে মনে করেন তিনি। এই পদক্ষেপের ফলে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক উন্নত হবে এবং উভয় দেশে ব্যবসার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পাবে।

দিল্লি বিমানবন্দরে বাংলাদেশি পণ্যের জন্য একটা নির্দিষ্ট স্থান চিহ্নিত করা হয়েছে। পণ্য তল্লাশির জন্য বসানো হয়েছে এক্স–রে যন্ত্র। এই ব্যবস্থায় দিল্লি বিমানবন্দর দিয়ে বাংলাদেশি পণ্য দ্রুত কম খরচে পৌঁছে যাবে যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ফ্রান্স, স্পেন, ইতালি, নেদারল্যান্ডস, ডেনমার্ক ও যুক্তরাষ্ট্রে।

ইন্ডিয়া টুডে বলছে, সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ তৈরি পোশাকের জন্য একটি বৈশ্বিক উৎপাদন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। দিল্লি বিমানবন্দর দিয়ে রপ্তানি করতে পারলে বাংলাদেশের জন্য তা নতুন সুযোগ তৈরি করবে। আবার বাংলাদেশী ব্যবসায়ীরা থ্রেড, টেক্সটাইল, পাট, চামড়া এবং ওষুধের কাঁচামালের জন্য ভারতের উপর অনেক বেশি নির্ভর করে। তাই বাংলাদেশের রপ্তানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ভারতীয় কাঁচামালের চাহিদাও বৃদ্ধি পাবে। ফলে দুই দেশের অর্থনীতিই এগিয়ে যাবে।