হিন্দি সিনেমার সমালোচনা করে চলচ্চিত্রের ‘মুভিলর্ড’ খ্যাত ডিপজল বলেছেন, অনেক হিন্দি সিনেমায় অশালীন গান ও নাচের দৃশ্য থাকে। এগুলো বাংলাদেশের সামাজিক সংস্কৃতির সঙ্গে যায় না। তাদের সংস্কৃতি আলাদা আর বাঙালি সংস্কৃতি আলাদা। ডিপজল বলেন, ‘বিগত কয়েক মাসে বেশ কয়েকটি সিনেমা বেশ ভালো ব্যবসা করেছে। কোটি টাকার মতো ব্যবসা করেছে। এতে করে অনেক সিনেমা হল সুফল পেয়েছে। আমি মনে করি আমরা আমাদের দেশীয় সিনেমা প্রদর্শন করলে এমনিতেই হলগুলো ঘুরে দাঁড়াবে।’
গত রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দেশের প্রেক্ষাগৃহে বলিউডের সিনেমা মুক্তির ব্যাপারে একমত হয় চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট ১৯ সংগঠন। বাংলাদেশে হিন্দি সিনেমা আনার বিষয়ে এসব সংগঠনের দ্বিমত নেই। আলোচনায় সিদ্ধান্তের মধ্যে আছে প্রতিবছর ১০টি হিন্দি সিনেমা বাংলাদেশের প্রেক্ষাগৃহে চলবে। বাংলাদেশের সিনেমাও ভারতে রফতানি করা হবে।বাংলাদেশে হিন্দি সিনেমা মুক্তি প্রসঙ্গে মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) ডিপজল ক্ষোভ প্রকাশ করে সময় সংবাদকে বলেন, ‘আমরা যারা চলচ্চিত্রকে গতিশীল করতে একের পর এক সিনেমা নির্মাণ করছি, হিন্দি সিনেমা আমদানি ও মুক্তি দিলে আমরা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হব।
ইতোমধ্যে আমার পরপর পাঁচটি সিনেমা মুক্তির তারিখ নির্ধারিত করেছি। আগামী রোজার ঈদে মুক্তি দেব ওলিজা মনোয়ার পরিচালিত বাংলার হারকিউলিস, কোরবানির ঈদে আমার পরিচালনায় জিম্মি, রোজার ঈদের এক মাস পর মনতাজুর রহমান আকবর পরিচালিত যেমন জামাই তেমন বউ এবং তার এক সপ্তাহ পর ঘর ভাঙা সংসার, কোরবানি ঈদের পর মনতাজুর রহমান আকবর পরিচালিত অমানুষ হলো মানুষ। এই সিনেমাগুলো তো ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’
মুক্তির তালিকায় থাকা এই সিনেমাগুলো মুক্তি পেলে চলচ্চিত্র অনেকটা ঘুরে দাঁড়াবে বলে দাবি করেন ডিপজল। তিনি বলেন, ‘প্রত্যেকটি সিনেমা দর্শকের চাহিদা ও সময়োপযোগী করে নির্মাণ করেছি। চলচ্চিত্রের এই দুঃসময়ে কোটি কোটি টাকা লগ্নি করেছি।’