হার্নিয়া বেশিরভাগ মানুষের কাছে এক আতঙ্কের রোগ। এ অসুখ হলে প্রচণ্ড ব্যথা হয়। এমন কী মানুষজন এ ব্যাথার কারণে শয্যাশায়ী পর্যন্ত হয়ে পড়েন। এক্ষেত্রে এই রোগের চিকিৎসায় দ্রুত চিকিৎসার প্রয়োজন। নইলে রোগ এত দ্রুত বেড়ে যায় যে পরবর্তী সময়ে ব্যথা সহ্য করা যায় না। চারপাশে অনেকেরই হার্নিয়ার অস্ত্রোপচার হচ্ছে বলে শোনা যায়। কিন্তু এত পরিচিত অসুখ নিয়েও ভ্রান্ত ধারণা প্রচুর। অনেকেই মনে করেন, এই রোগ কেবল পুরুষদের হয়। আবার অনেকে ভেবে নেন, হার্নিয়া নিয়ে মাথা না ঘামালেও চলে। এত ভুল ভাবনার জন্য তারা সময়মতো চিকিৎসকের কাছে আসেন না। ফলে পরিস্থিতি জটিল হয়।
হার্নিয়া আসলে কেমন ধরনের অসুখ ?
একটি ফুটো বালতির মধ্যে পানি রাখলে যেমন তা বাইরে বেরিয়ে আসবে, হার্নিয়ার ক্ষেত্রেও ঠিক তেমনটাই হয়। পেটের পেছনের দিকে থাকে হাড়, সামনে রয়েছে পেশি। তার ভেতরে থাকে অন্ত্র, নালি, চর্বি ইত্যাদি। কিন্তু পেটের মধ্যে কোথাও ফুটো হয়ে গেলে ভেতরের পদার্থগুলো বাইরে বেরিয়ে আসতে চাইবেই। একেই হার্নিয়া বলে।
বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিভিন্ন বয়সে ভিন্ন ভিন্ন ধরনের হার্নিয়া হতে পারে–
১. ফিমোরাল হার্নিয়া।
২. হায়াটাল হার্নিয়া।
৩. আমব্লায়াকাল হার্নিয়া।
৪. ইঙ্গুয়াল হার্নিয়া।
প্রাইমারি হার্নিয়া: পরিণতবয়স্ক পুরুষের ক্ষেত্রে গ্রোইন হার্নিয়া বেশি হয়। স্থূলতার কারণে নাভিতেও হার্নিয়া হতে পারে। বেশ কয়েকবার গর্ভবতী হলে নারীদের তলপেটের অংশ দুর্বল হয়ে যেতে পারে। ব্যায়াম না করলে মেয়েদের তলপেট কমজোরি হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। হতে পারে আম্বিলিক্যাল হার্নিয়া।
সেকেন্ডারি বা ইনসিশনাল হার্নিয়া: অস্ত্রোপচারের পরবর্তী সময় কোনো কারণে সেলাই খুলে গেলে ইনসিশনাল হার্নিয়া হতে পারে। নারীদের সিজ়ারিয়ান সেকশন বা হিস্টেরেক্টমির পর তলপেটে এ প্রকার হার্নিয়া দেখা যায়। যেকোনো অস্ত্রোপচারের পরেই এই হার্নিয়া হতে পারে। ক্যানসার রোগীর অস্ত্রোপচারের পরে শারীরিক দুর্বলতার জন্য ঘা না শুকালেও হার্নিয়া হয়।
লক্ষণ দেখলে সতর্ক হতে হবে
করণীয় ?
এক্ষেত্রে হার্নিয়ার সমস্যা দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে হবে। কারণ এ সমস্যা নিজের থেকে দূর হবে না।
সূত্র: আনন্দবাজার