দেশের বাজার প্রতিনিয়ত যেভাবে নিত্য পূরণের দাম বাড়ে, সেই তুলনায় থেকে ফুলের দাম কখনই বাড়ে না,বিশেষ কিছু দিন ছাড়া সারা বছরই ফুল ব্যবসায়ী লাভের চাইতে ক্ষতির ভাগটাই বেশি গুনেন।
ফুল বিক্রেতা রাশেদুল জানিয়েছেন, ক্রয় কৃত দামের চাইতে,কম দামে ফুল বিক্রি করছে তারপরও নেই কোনো ক্রেতা। লাভ তো দূরের কথা, কোন মত বিক্রয় করে শ্রমিক খরচ তুলতেই খাচ্ছেন হিমশিম। তারা বলেন, যেভাবে প্রতিনিয়তই হুরহুর করে দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেদিক থেকে তাদের পরিবার নিয়ে কোন মত খেয়ে না খেয়ে জীবন যাপন করছেন। যা পরিবারের চাহিদা কিছুতেই মিটাতে পারছেন না তারা।
ফুল বিক্রেতা মিলন বলছেন,হতাশা নিয়ে দোকানে সাজিয়ে রাখা হয়েছে তাজা ফুল। রয়েছে নানান রঙ্গের,নানা জাতের ফুলের বাহারি তোড়া, তবে এখন শুধু অভাব ক্রেতার। ফুলকে তাজা রাখতে পানির স্প্রে করেন, লক্ষ্য শুধু একটাই তাজা ফুল ক্রেতার কাছে বিক্রি করার কিন্তু গ্রাহক না থাকায় বেশিরভাগ ফুল বিনষ্ট হয়ে যায়।প্রতিদিন ফেলতে হচ্ছে হাজার হাজার টাকার ফুল। এতে করে ব্যবসায়ীরা লাভের চাইতে ক্ষতির সম্মুখীন বেশি হচ্ছেন।
ফুল বিক্রেতা আপন জানিয়েছেন, তাদের ক্রেতা বেশিরভাগ স্কুল কলেজ পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রী।এছাড়াও রয়েছেন বিয়ে বাড়ির ক্রেতাসহ, বিশেষ কিছু অনুষ্ঠানের ক্রেতা।কিন্তু তাদের দাবি আগের তুলনায় বিয়ে বাড়ির সহ যেসব অনুষ্ঠানে হাজার হাজার টাকার ফুল বিক্রয় করতো, এখন আর সেসব অর্ডার পায়না, কারণ হিসেবে দায়ী করেন, বাজারে কৃত্রিম প্লাস্টিকের ফুলকে।
এ ফুলের কারণেই নাকি তাদের বেচা-কেনা কমেছে। তাদের দাবি বাজার থেকে যদি এ কৃত্রিমফুল ছড়ানো যায় -তাহলে তারা আগের রূপে ব্যবসায় ফিরতে পারবেন,বাড়বে ক্রেতার চাহিদা, বাড়বে বিক্রয় বিক্রয়। আরো জানা যায়,খুচরা বাজারের সঙ্গে সঙ্গে প্রভাব পড়েছে পাইকারি বাজারেও।
কারন বাজারে ফুল ক্রেতার অভাব থাকায়,পাইকারি ব্যবসায়ীদেরও কমেছে বিক্রয়। এতে পাইকারি ব্যবসায়ীরাও পড়েছেন বিপাকে। তারা জানান বাগানে যথেষ্ট পরিমাণ ফুল থাকা সত্ত্বেও নেই বড় কোন অর্ডার। যার কারনে ফুল চাষের খরচ তুলতেই হিমশিম খাচ্ছেন তারা। তারপরও পূর্বপুরুষের রেখে যাওয়া ব্যবসা ধরে রাখতে চান তারা। তাদের আশা কোন এক সময়ে ফিরবে ক্রেতা, বাড়বে বিক্রয়।