এক সময়ের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক, যার নামের আগে সিনেপ্রেমীরা জুড়ে দিয়েছিলেন ‘লাভার বয়’ তকমা। তিনি আমিন খান। রুপালি জগৎ ছেড়ে হঠাৎ করপোরেট দুনিয়ায় ব্যস্ত এ নায়ক। ক্যারিয়ারের এমন বাঁক বদলের অভিজ্ঞতাটা কেমন? আমিন খান বলেন, যখন নিয়মিত অভিনয় করতাম সেই সময়ও কাজকে উপভোগ করতাম। ঠিক তেমন করেই এখন যে পেশায় যুক্ত আছি, তা প্রাণ ভরে উপভোগ করছি। সত্যি বলতে হিরো আমিন খানের জন্যই আজ এই জায়গায় রয়েছি।
আমার প্রতি দেশবাসীর ভালোবাসার কারণে এই প্রতিষ্ঠান আমাকে মূল্যায়ন করেছে। হ্যাঁ, এটা সত্যি। হিরো আমিন খানের প্রতি সবাই একটু বেশি শ্রদ্ধা জানান। নতুন মুখের সন্ধানে তৃতীয় আসর থেকে আপনি নির্বাচিত হয়েছিলেন। সেই সময়ের অভিজ্ঞতা কেমন ছিল? এ নায়ক বলেন, আমার পরিবারের কেউ এ পেশায় যুক্ত ছিলেন না।
আমি যখন সম্মানিত বিচারকদের প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছিলাম সেদিনের অভিজ্ঞতা ভোলার নয়।
শ্রদ্ধেয় এটিএম শামসুজ্জামান, কাজী জহির, এ জে মিন্টু, সোহানুর রহমান সোহানের মতো বড় চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্বদের প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়েছিল। আপনার প্রথম পারিশ্রমিক কতো ছিল এবং প্রথম সিনেমার শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা কেমন ছিল? আমিন খান বলেন, প্রথম পারিশ্রমিক ছিল এক টাকা। সেই এক টাকা যত্নে তুলে রেখেছি। আর প্রথম যে দৃশ্যে অভিনয় করেছিলাম সেটা ছিল মর্নিং ওয়াকের, সংসদ ভবন চত্বরে।
আপনার সঙ্গে কোনো নায়িকাকে জড়িয়ে গুঞ্জন নেই। এটা কীভাবে সম্ভব হলো? হেসে আমিন খান বলেন, সিনেমায় যত রোমান্টিক হই না কেন ঠিক উল্টো আমার জীবনযাপন। খুব বাস্তববাদী আমি। শুটিং শেষে আমি সোজা বাসায়। কোনো ফিল্মি আড্ডা কিংবা গসিপিংয়ে থাকতাম না। সিনেমা বোদ্ধারা এক বাক্যে বলেন বর্তমানে সিনেমার ক্রান্তিকাল চলছে।
আপনার মতামত কি? উত্তরে এ নায়ক বলেন, সবকিছুরই শুরু আছে শেষও আছে। তেমনি অতীতে আমাদের সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি যেমন সমৃদ্ধ ছিল মাঝখানে কিছুটা ধ্বংসের প্রান্তে চলে গিয়েছিল। তবে এখন অনেক তরুণ নির্মাতা ভালো কাজ করছেন। মৃতপ্রায় সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিকে গত বছরের ‘পরাণ’, ‘হাওয়া’ ও এবারের ঈদের ছবিগুলো উজ্জীবিত করেছে।