রাজধানীর বঙ্গবাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ব্যবসায়ীদের বিপুল ক্ষতি হয়েছে। ঈদের আগে এই অগ্নিকাণ্ডের কারণে দোকানিরা সর্বস্বান্ত হয়েছেন।
সেই সঙ্গে তাদের মনে আরেক শঙ্কা ভর করেছে। তা হলো পুড়ে যাওয়া দোকানের জায়গায় তারা নতুন করে ব্যবসা শুরু করতে পারবেন কিনা, তা নিয়ে। এরইমধ্যে অনেক দোকানি ও ব্যবসায়ী রাস্তা-ফুটপাতে দোকান বসিয়েছেন।
অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, এমন ব্যবসায়ীদের অনেকেই আতঙ্কে আছেন, কারণ আগে বিভিন্ন মার্কেটে আগুন লাগার পর এমন দেখা গেছে যে- যারা প্রকৃত দোকানি, তারা আর দোকান ফেরত পাননি। অন্য কেউ তা দখল করে নিয়েছেন।
ব্যবসায়ীরা জানান, জীবন-জীবিকার তাগিদে কীভাবে দ্রুত ব্যবসা শুরু করা যায়, সেটাই এখন চিন্তার বিষয়। তারা দ্রুত পুনর্বাসন চান। ব্যবসায়ী নেতারাও তাদের এই দাবির সঙ্গে একমত। আর অনেক ছোট ব্যাবসায়ী ঈদকে সামনে রেখে নিজেদের ক্ষতচিহ্নের দাগ নিয়েই ফুটপাতে কাপড়ের দোকান বসিয়েছেন।
শনিবার (৮ এপ্রিল) সকাল থেকে আগুনে পুড়ে যাওয়া বঙ্গবাজারের দক্ষিণ পাশের ফুটপাতে, ফ্লাইওভারের নিচে শতাধিক ব্যবসায়ী কাঠের চকিতে দোকান নিয়ে বসেছেন। দোকানগুলোকে ঘিরে জনসমাগম হলেও এখনও বিক্রি জমে ওঠেনি। সব ব্যবসায়ীর চোখে মুখে কষ্টের ছাপ।
ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, যেটুকু মালপত্র বাঁচাতে পেরেছেন তা নিয়ে বসেছেন তারা। ঈদের আগে কিছু বেচাবিক্রি হলে কর্মচারীদের বেতন কিছুটা দিতে পারবেন বা নিজেদেরও কিছুটা সহায়তা হবে।
ফ্লাইওভারের নিচে দোকান নিয়ে বসেছেন ব্যবসায়ী হাবিবুল্লাহ। তিনি বলেন, বঙ্গ মার্কেটে দুটি দোকান ছিল আমার। দুটো দোকানই পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। কিছু মালামাল সরাতে পেরেছিলাম। তাই নিয়ে এসেছি। বিক্রি নাই বললেই চলে। কারণ আমাদের রেগুলার কাস্টমাররা তো দোকানের ঠিকানা জানেন না। এবার ঈদ যে কীভাবে করবো একমাত্র আল্লাহ ভালো জানেন।
বঙ্গবাজারের গুলিস্থান মার্কেটে জিন্সের প্যান্ট ও শার্টের দোকান ছিল সাইফুল ইসলামের। দোকান পুড়ে এখন তারও ঠিকানা ফুটপাত। সাইফুল জানান, বাসায় খাবারের টাকা নেই। তাই বাধ্য হয়ে ফুটপাতে দোকান বসিয়েছেন।