অযৌক্তিক দামে বাজারে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি করায় মুরগি উৎপাদনকারী চার প্রতিষ্ঠানকে তলব করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। গতকাল বুধবার সংস্থাটির পক্ষ থেকে এক চিঠিতে এসব প্রতিষ্ঠানকে বিষয়টি জানানো হয়েছে
চিঠিতে আজ বৃহস্পতিবার বেলা দেড়টায় ভোক্তা অধিদপ্তরের কার্যালয়ে প্রয়োজনীয় প্রমাণাদিসহ সশরীর উপস্থিত হয়ে এসব প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের মুরগির অযৌক্তিক দামের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলেছে অধিদপ্তর।
ওই চার প্রতিষ্ঠান হচ্ছে আফতাব বহুমুখী ফার্মস লিমিটেড, কাজী ফার্মস লিমিটেড, প্যারাগন পোলট্রি অ্যান্ড হ্যাচারি লিমিটেড ও সিপি বাংলাদেশ।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. আবদুল জব্বার মণ্ডল বলেন, এসব প্রতিষ্ঠানকে নথিপত্রসহ আসতে বলা হয়েছে। উপযুক্ত কারণ দর্শাতে ব্যর্থ হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
গতকাল বুধবার জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র সহ-সভাপতি এবং বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতির যৌথ তদারককালে নিউমার্কেটের বনলতা কাঁচাবাজারে খুচরা পর্যায়ে ব্রয়লার মুরগি ২৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা যায়। পাশাপাশি কাপ্তানবাজারে পাইকারি পর্যায়ে ২৪৫ থেকে ২৫০ টাকা বিক্রয় করা হচ্ছে মর্মে পরিলক্ষিত হয়। এছাড়াও প্রতি কেজি সিলেটে ২২৬ টাকা, কুমিল্লায় ২২৪ টাকা, হবিগঞ্জে ২২১ টাকা, নরসিংদীতে ২২০ টাকা, টাঙ্গাইলে ২১৮ টাকা, ময়মনসিংহ ও গাজীপুরে ২১৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে মর্মে তদারককালে দেখা যায়।
৯ মার্চ যৌক্তিক মূল্যে পোল্ট্রি (ব্রয়লার মুরগি) বিক্রয় করবেন মর্মে সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও বাজারে তা পরিলক্ষিত হয়নি। বরং আরও অধিকমূল্যে তা বিক্রি হচ্ছে, যা ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯-এর ২১ (খ) ধারা অনুযায়ী ভোক্তা- অধিকারবিরোধী অপরাধ।
এমতাবস্থায় বাজারে পোল্ট্রি (ব্রয়লার) মুরগির অযৌক্তিক মূল্যবৃদ্ধির বিষয়ে ২৩ মার্চ দুপুরে অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে প্রয়োজনীয় তথ্যসহ উপস্থিত হয়ে ব্যাখ্যা প্রদানের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো। অন্যথায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।