ফলে বিগত সম্মেলনগুলোর তুলনায় এ বছর সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হার কম হয়েছে। তবে মধ্যমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়ন হলে গত বছরের সম্মেলনের বাস্তবায়ন অগ্রগতির হার ৪৬ শতাংশ থেকে আরো বাড়বে। এ বছর এক কোটি ৭০ লাখ টাকা বাজেট আছে। কিছু কম হবে বলে আশা করি।’
প্রস্তাবের বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদসচিব বলেন, এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে যা আয় হয়, তা কিভাবে ব্যয় হয় জানা যায় না বেশির ভাগ ক্ষেত্রে। তার হিসাব রাখার প্রস্তাব করেছেন একজন ডিসি। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে বডি ক্যামেরা রাখা, মারণাস্ত্র ও ছররা গুলি না রাখার প্রস্তাব আছে। সার্কিট হাউসে গুরুত্বপূর্ণ অতিথি থাকলে কেপিআই হিসেবে ঘোষণার প্রস্তাব আছে। পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগে অনিয়ম দূর করতে জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে একজনকে রাখার প্রস্তাব থাকছে সম্মেলনে।
তিনি আরো বলেন, এবারের প্রধান-প্রধান আলোচ্য বিষয় হচ্ছে ভূমি ব্যবস্থাপনা, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম জোরদারকরণে ব্যবস্থা, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যক্রম, স্থানীয় পর্যায়ে কর্মসৃজন ও দারিদ্র্য বিমোচনে কর্মসূচি, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি বাস্তবায়ন এবং আরো অন্যান্য বিষয়; তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার এবং ই-গভর্ন্যান্স, শিক্ষার মানোন্নয়ন ও সম্প্রসারণ, স্বাস্থ্যসেবা ও পরিবার কল্যাণ পরিষেবার উন্নয়ন, পরিবার সংরক্ষণ ও দূষণ রোধের বিষয়ে আলোচনা, ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন, উন্নয়নমূলক কার্যক্রমের বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও সমন্বয়।
২০২৪ সালের সম্মেলনের ৪৬ শতাংশ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন প্রসঙ্গে মন্ত্রিপরিষদসচিব বলেন, গত বছর ডিসি সম্মেলনে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি মোট ৩৮১টি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে বাস্তবায়ন হয়েছে ১৭৭টি সিদ্ধান্ত। বাস্তবায়নাধীন ২০৪টি। সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের হার ৪৬ শতাংশ। যেসব সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য বিবেচনাধীন, সেসব সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নাধীন হিসেবে দেখানো হয়েছে। যেসব সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ বা সিদ্ধান্তের বেশির ভাগ বাস্তবায়িত হয়েছে, সেসব সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হিসেবে দেখানো হয়েছে।
প্রতিটি মন্ত্রণালয়/বিভাগ/কার্যালয়ের যথাযথ তৎপরতা, আন্তরিকতা ও ঐকান্তিক প্রচেষ্টা থাকায় জেলা প্রশাসক সম্মেলন ২০২৪-এ গৃহীত সিদ্ধান্তের ৪৬ শতাংশ বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়েছে। গত বছর (২০২৪) ডিসি সম্মেলন চলাকালে এর আগের বছরের (২০২৩) সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন অগ্রগতি ছিল ৬২ শতাংশ।