এরই মধ্যে যে নাটকগুলো মুক্তি পেয়েছে, সেগুলো বেশ আগেই শুটিং করা ছিল। ‘ফার্ম গেট’, ‘আই ডোন্ট কেয়ার’ নাটকগুলো হয়তো নির্মাতারা আগে মুক্তি দিতে চেয়ে পারেননি। তাই বিশেষ এই দিনকে বেছে নিয়েছেন। দুই সপ্তাহ আগে নিলয় আলমগীরের সঙ্গে ‘কথায় নয় কাজে বিশ্বাসী’ নাটকটি মুক্তি পেয়েছে।
আসবে তো। ‘যদি তোমারে না পাই’, ‘সত্য মিথ্যার প্রেম’, ‘হিটার’ মুক্তি পাবে একে একে। তিনটিতেই আমার সঙ্গে আছেন খায়রুল বাসার। এখন তাঁর সঙ্গেই কাজ হচ্ছে বেশি। আগামী দিনেও আরো কয়েকটি নাটকের শুটিং শুরু করব আমরা।
হঠাৎ বাসারের সঙ্গে কাজ বাড়ার কারণ কী?
একটা সময় ট্রেন্ডি গল্পে কাজ বেশি করতাম। এখন পর্যন্ত আমার অভিনীত ১২০টির বেশি নাটক প্রচারিত হয়েছে, যার ৯০ শতাংশই ট্রেন্ডি। তবে এখন সিদ্ধান্ত বদলেছি। রোমান্টিক ও পারিবারিক গল্পে কাজ করতে চাই। খায়রুল বাসারও এই ধরনের কাজ করেন বেশি। তা ছাড়া বাসারের সঙ্গে কয়েকটি কাজ করে মনে হয়েছে, দারুণ সিংক হচ্ছে আমাদের। নির্মাতারাও সেটা লক্ষ্য করেছেন। ফলে তাঁরাও ডাকছেন।
গত দুই বছর আপনি টানা অভিনয় করেছেন। মনে হচ্ছে, এখন একটু বিরতি নিয়েছেন?
শুরুতে আমাকে শেখানোর কেউ ছিল না। নিজেও নতুন ছিলাম। যখন যে নাটকে অভিনয়ের প্রস্তাব পেয়েছি বুঝে না বুঝে হ্যাঁ বলেছি। এতে শুধু সংখ্যাটাই বেড়েছে। এখন সংখ্যার চেয়ে মানে ভালো নাটক করতে চাই। মনের মতো পাণ্ডুলিপি যখন পাচ্ছি তখনই ক্যামেরার সামনে দাঁড়াচ্ছি। না পেলে অপেক্ষা করছি। ফলে বিরতি পড়ছে। এটা নিয়ে আমি চিন্তিত নই।
নাটকের শুটিংয়ের সেটে ধারণ করা ছোট ছোট ভিডিও ক্লিপ প্রকাশ করেন আপনি। প্রযোজক-পরিচালক কিছু বলেন না?
আমি তো নাটকের দৃশ্যের কোনো ক্লিপ প্রকাশ করি না। সহশিল্পীদের সঙ্গে ফানি মোমেন্ট ভক্তদের সঙ্গে শেয়ার করি। নিলয় আলমগীর মাঝখানে স্ট্যাটাস দিয়েছেন, তাঁর ইউনিটে কেউ ভিডিও ক্লিপ ছাড়তে পারবে না। অথচ আমি কিন্তু ‘কথায় নয় কাজে বিশ্বাসী’ নাটকে তাঁর সঙ্গেই করা চার-পাঁচটি ভিডিও ক্লিপ প্রকাশ করেছি। তিনি কিছুই বলেননি। এখন আপনি যদি নাটকের চরিত্র দর্শককে জানিয়ে দেন, গল্প ফাঁস করে দেন তাহলে কে মেনে নেবে?
আপনার ভ্লগগুলো সব সিলেটি ভাষায়ই। বিশেষ কোনো কারণ আছে নাকি?
আমি সিলেটের মেয়ে। এই অঞ্চলের ভাষার প্রতি আলাদা টান রয়েছে। যদিও ক্যারিয়ারে মাত্র পাঁচটি নাটক করার সুযোগ হয়েছে সিলেটি ভাষায়। এই অঞ্চলের ভক্তদের জন্যই আমার ভ্লগগুলো সিলেটি ভাষায় করি। বিশ্বাস করবেন না, শুধু সিলেট অঞ্চলের নয়, অন্য অঞ্চলের মানুষও এসব ভ্লগ পছন্দ করে। মন্তব্যের ঘরে গেলেও সেটা বুঝতে পারবেন।
১৪ ফেব্রুয়ারি প্রেমিককে নিয়ে ঘুরে বেড়ালেন। দুজনের হাতে একটি টেডি বিয়ারও ছিল। বিশেষ কোনো ইঙ্গিত নাকি?
আরে না! কী যে বলেন (হা হা হা)। ১৪ ফেব্রুয়ারি শুটিং ছিল না। তাই ভাবলাম, কিছু শপিং করি। দুজনে বের হলাম। যে দোকান থেকে কেনাকাটা করলাম তারা এই টেডি বিয়ারটা গিফট করেছিল। এখন কী করব! ওটা তো আর রেখে আসতে পারি না। হাতে করে ঘুরে বেড়ালাম। জানি এখন প্রশ্ন করবেন, বিয়ে কবে করছেন? আগেই বলে দিই, গুনে গুনে পাঁচ বছর পর। মানে ২০৩০ সালে। এর আগে আমাদের নিয়মিত দেখা হবে, কিন্তু বিয়ে হবে না।