এদিকে লাঞ্ছনার শিকার বীর মুক্তিযোদ্ধা কানু অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তার ছেলে গোলাম মোস্তফা বিপ্লব।
কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা কৃষক লীগের সাবেক সহসভাপতি পদে আছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই কানু।
তার বাবা হাসপাতালে ভর্তি আছেন জানিয়ে বিপ্লব আরো বলেন, ‘আমার বাবা অপমান সইতে না পেরে অসুস্থ হয়ে যান। ফেনীর একটা হাসপাতালে ভর্তি আছেন। আমাদের এলাকায় থাকা নিরাপদ নয়, বারবার আমাকে বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি না করতে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। পরিবার নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় এলাকার বাইরে আছি।’
তবে বীর মুক্তিযোদ্ধাকে নির্যাতনের সঙ্গে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীদের জড়িত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন উপজেলা জামায়াতের আমির মো. মাহফুজুর রহমান। দলের পক্ষ থেকে তিনিও এ ঘটনার শাস্তি দাবি করেছেন।
চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ টি এম আক্তার উজ জামান বলেন, ‘ভিডিওটি দেখে আমি ওই বীর মুক্তিযোদ্ধার সঙ্গে দুইবার কথা বলেছি। তিনি কোনো অভিযোগ করতে রাজি হচ্ছেন না। তবে আমরা এ ঘটনা জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশ কাজ করছে। জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আরাফাতুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা লিখিত কোনো অভিযোগ পাইনি, তবে আমরা মুক্তিযোদ্ধার সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তিনি অসুস্থ, ফেনিতে চিকিৎসা নিচ্ছেন। যারা এ ঘটনাটি ঘটিয়েছে আমাদের টিম রাত থেকে এখন পযন্ত মাঠে আছে, গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’
কুমিল্লায় মুক্তিযোদ্ধার গলায় জুতার মালা পরানোর ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে আইনের আওতায় আনার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। সরকারের পক্ষ থেকে মুক্তিযোদ্ধার মানহানির ঘটনার তিব্র নিন্দা জানানো হয়েছে। সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।