বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় সব ধর্মাবলম্বীদের ও বিভিন্ন পেশাজীবীদের নিয়ে সম্প্রীতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) বিকাল ৪ টায় উপজেলায় বিএনপির আয়োজনে কর্মকারপাড়া সার্বজনীন পূজা মন্দির মাঠে অনুষ্ঠিত এই শান্তি ও সম্প্রীতি সমাবেশে বিপুল সংখ্যক হিন্দু ও খ্রিস্টান সম্প্রদায়সহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ অংশ নেন।
ধর্ম যার-যার, দেশটা সবার। ধর্মীয় সম্প্রীতির উপর আঘাত করার অপচেষ্টা চালাবেন না, ধর্মীয় সম্প্রীতির মাধ্যমে নতুন করে দেশটাকে গড়ে তুলতে হবে বলে জানান বক্তারা।
শেরপুর উপজেলার বিএনপির সাধারন সম্পাদক ভিপি রফিকুল ইসলামের সঞ্চালনায় শান্তি ও সম্প্রীতি সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন শেরপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ভিপি শহিদুল ইসলাম বাবলু। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক ও বগুড়া-৬ আসবের সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম মোঃ সিরাজ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে গোলাম মোঃ সিরাজ বলেন, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। ফিরে পেয়েছি স্বাধীনতা। তাই মনখুলে কথা বলতে পারছি। কিন্তু নতুন করে স্বাধীনতা পেলেও বাংলাদেশের আকাশে আবারো কালো মেঘ উঁকি দিচ্ছে। দেশের একাধিক স্থানে লুটপাট, মাজার ভাঙা ও সংখ্যালঘুদের উপর হামলা চালাচ্ছে একটি স্বার্থান্বেষী মহল। হিন্দু-মুসলিমের মধ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের পায়তারা করছে তারা। আওয়ামীলীগের বিগত শাসনামলে দেশের মধ্যে নানা ধরণের বিভেদ সৃষ্টি করে ফায়দা লুটার চেষ্টা চালিয়েছে। এরই অংশ হিসেবে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা ভারতে বসে সংখ্যালঘু নির্যাতনের কাল্পনিক অভিযোগ তুলে বাংলাদেশ বিরোধী প্রচারণা চালাচ্ছে। বিএনপির এই নেতা আরো আরো বলেন, হাসিনা সরকারের পতনের মাধ্যমে দেশকে নতুনভাবে এগিয়ে নেয়ার সম্ভবনা তৈরি হয়েছে। সেসময় সার্থন্বেষি ওই মহলটির এহেন কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে জাতি, ধর্ম নির্বিশেষে সব সম্প্রদায়ের লোকজনের প্রতি আহ্বান জানান। বিএনপির এই সমাবেশে উপস্থিত সবাইকে আগামীর নতুন বাংলাদেশ গড়ার শপথ বাক্য পাঠ করান তিনি।
সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কে এম মাহবুবার রহমান হারেজ, জেলা বিএনপির উপদেষ্টা আলহাজ্ব শফিকুল আলম তোতা, উপজেলা জামায়াতের আমীর আলহাজ্ব দবিবুর রহমান, সেক্রেটারী নাজমুল হক, উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আলহাজ্ব মাহবুবুল আলম হিরু, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মোমিন, মামুনুর রশিদ আপেল, উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি নিমাই ঘোষ, সহ-সভাপতি করুনা রানী ঘোষ, সাধারণ সম্পাদক সংগ্রাম কুন্ডু, সাংগঠনিক সম্পাদক বাধন কর্মকার কৃষ্ণ, বাংলাদেশ ব্রাহ্মণ সংসদ শেরপুর উপজেলা কমিটির সভাপতি সৌমেন্দ্র নাথ ঠাকুর শ্যাম, বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ খৃষ্টান ঐক্য পরিষদ উপজেলা শাখার সভাপতি বরেন্দ্র চন্দ্র সান্যাল, নেতা শুভ অধিকারী, জগন্নাথ মন্দির কমিটির সহ-সভাপতি প্রকাশ সরকার, আদিবাসি ফোরামের কেন্দ্রীয় নেতা শ্রীকান্ত মাহাতো, হিন্দু মহাজোট শেরপুর উপজেলার সদস্য নিখিল সরকার প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানের শুরুতেই জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেন স্থানীয় শিল্পিরা।