বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নানা রকম শারীরিক সমস্যা দেখা দেয় শরীরে। বার্ধক্য এমনিতেই শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমতে থাকে। ফলে রোগের সঙ্গে লড়াই করা সহজ নয়। এই সুযোগেই শরীরে বাসা বাঁধে কোলেস্টেরল।
২০১৭ সালের একটি সমীক্ষা বলছে, প্রতি পাঁচ জনের মধ্যে একজন কোলেস্টেরলের সমস্যায় ভুগছেন। অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, অনিয়মিত খাওয়াদাওয়ার মতো বিভিন্ন কারণে এই রোগ হয়।
কোলেস্টেরল অবহেলা করা বোকামি। চেষ্টা করতে হবে কোলেস্টেরল যাতে আপনার শরীরে হানা না দেয়। তা সত্ত্বেও যদি কোলেস্টেরল যদি ধরা পড়েই, তা হলে সাবধানে থাকতে হবে। কারণ কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে না রাখলে আরও অনেক শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। হতে পারে হৃদরোগও। তাই কোলেস্টেরল হাতের মুঠোয় রাখা জরুরি।
কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ নয়। দৈনন্দিন জীবনে প্রচুর নিয়ম মেনে চলা জরুরি। নয়তো কোলেস্টেরলের মাত্রা চড় চড় করে বাড়তে থাকবে। খাদ্যতালিকা থেকে যেমন অনেক খাবার বাদ দিতে হবে, তেমনই রাখতেও হবে বেশ কিছু। তার মধ্যে অন্যতম হল পেয়ারা।
শরীর সুস্থ রাখতে পেয়ারার ওপর ভরসা রাখতে পারেন। পেয়ারার স্বাস্থ্যগুণ নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। পেয়ারা আছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। যা কোলেস্টেরল আটকানোর সবচেয়ে বড় হাতিয়ার। ফাইবারে ভরা পেয়ারা কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। সেই সঙ্গে শরীরে ভাল কোলেস্টেরলের পরিমাণ বাড়াতেও এর জুড়ি মেলা ভার।
কয়েকটি গবেষণা বলছে, কোলেস্টেরলের রোগীরা নিয়মিত পেয়ারা খেতে পারেন। তাতে মিলবে উপকার। পেয়ারায় থাকা অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট শরীরে জমে থাকা নানা রকম দূষিত পদার্থ বাইরে বার করে দেয়। তাই কোলেস্টেরল থাকলে শুধু অনেক অনেক ওষুধ না খেয়ে বরং ভরসা রাখতে পারেন পেয়ারার ওপর। উপকার পাবেন।