ঢাকাসোমবার , ২৩ অক্টোবর ২০২৩
  • অন্যান্য

লেবানন সীমান্ত থেকে লোকজনকে সরে যাওয়ার নির্দেশ, যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
অক্টোবর ২৩, ২০২৩ ১০:২৯ পূর্বাহ্ণ । ৮৮ জন
যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা

গাজা উপত্যকায় রোববার দিবাগত রাতভর বোমা হামলা জোরালো করে ইসরাইল। বিমান থেকে হামলা চালানো হয়েছে জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে। এতে কমপক্ষে ৩০ জন নিহত হয়েছেন। ফিলিস্তিনি বার্তা সংস্থা ওয়াফার তথ্যমতে, ২৪ ঘন্টায় গাজায় নিহত হয়েছেন কমপক্ষে ৪০০ মানুষ। এ নিয়ে ইসরাইলি হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা দাঁড়ালো কমপক্ষে ৪৭৪১। নিহত হয়েছেন আরও একজন সাংবাদিক। গাজা উপত্যকায় নিহত ওই ফটোসাংবাদিকের নাম রুশদি সারাজ। নিজের বাসভবনে তিনি ইসরাইলি হামলার শিকার হন। ইসরাইল হামলা চালিয়েছে আল শিফা এবং আল কুদস হাসপাতালের খুব কাছাকাছি এলাকায়। ফলে এই দুটি হাসপাতাল এখন ঝুঁকিতে আছে।

এর আগে প্যালেস্টাইনিয়ান রেডক্রসের মিডিয়া পরিচালক আল জাজিরাকে বলেছেন, আল কুদস হাসপাতালকে যেকোনো মুহূর্তে বোমা হামলা চালানোর হুমকি দেয়া হয়েছে।

 

অন্যদিকে লেবানন সীমান্তে আরেক যোদ্ধাগোষ্ঠী হিজবুল্লাহর সঙ্গে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে।

এ জন্য লেবানন সীমান্তের গ্রামগুলো থেকে লোকজনকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ইসরাইলি সেনারা। যদি হিজবুল্লাহর সঙ্গে হামাসের মতো যুদ্ধ শুরু করে ইসরাইল, তাহলে এই যুদ্ধ মধ্যপ্রাচ্যে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা আছে। একদিকে হামাস, অন্যদিকে হিজবুল্লাহ অন্ততপক্ষে এই দুটি ফ্রন্টে যুদ্ধ করতে হবে ইসরাইলকে। এ ছাড়া সিরিয়ার দুটি বিমানবন্দরে আগেই ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করে তার ব্যাপক ক্ষতি করা হয়েছে। সিরিয়া থেকে দাবি করা হয়েছে, এ ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জন্য দায়ী ইসরাইল। এমনি করে মধ্যপ্রাচ্যের অনেক দেশের সঙ্গে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করছে ইসরাইল। ফলে বিশ্ব রাজনীতি নিয়ে বিশ্লেষণ করেন, এমন ব্যক্তিরা বড় যুদ্ধের আশঙ্কা করছেন।

ওদিকে যৌথ বিবৃতি দিয়ে ইসরাইলের প্রতি সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, বৃটেন ও যুক্তরাষ্ট্রের নেতারা। তবে তারা ইসরাইলকে আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন। অনুরোধ করেছেন বেসামরিক মানুষের জীবন রক্ষা করতে। যুক্তরাষ্ট্র সতর্ক করে বলেছে, ইসরাইল-হামাস যুদ্ধে যদি মার্কিন সেনাদের টার্গেট করা হয়, তাহলে এর প্রতিশোধ নিতে প্রস্তুত যুক্তরাষ্ট্র। এর মধ্য দিয়েও মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

লেবানন সীমান্তে হিজবুল্লাহর সঙ্গে ইসরাইলি সেনাদের উত্তেজনা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর ফলে লেবাননের উত্তরাঞ্চলের সঙ্গে ইসরাইলি সীমান্তে ১৪টি শহর থেকে লোকজনকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ইসরাইল। এর আগের সপ্তাহে একই রকম আদেশ দেয়া হয়েছে অন্য ২৮টি শহরকে। এর ফলে ওই এলাকার মানুষের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। উদ্ধার অভিযান চলাকালে তারা হতাশা প্রকাশ করেছেন। নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এই উদ্ধার অভিযানের নির্দেশই বলে দিচ্ছে ওই সীমান্তে কেমন পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

ওদিকে রোববার কুসুফ গাজায় গোলাগুলির মধ্যে পড়ে একজন ইসরাইলি সেনা নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে অন্য তিনজন। এ সময় ইসরাইলি ট্যাঙ্ক ও সামরিক যান তীব্র গোলাগুলির মধ্যে পড়ে।
এর আগে দখলীকৃত পশ্চিমতীরে জেনিন শরণার্থী শিবিরে হামলা করে ইসরাইলি বাহিনী। সেখানে তারা আল আনসার মসজিদকে টার্গেট করে। তাদের অভিযোগ এই মসজিদের সঙ্গে জেনিন ব্রিগেডের সম্পর্ক আছে। তাই তাদেরকে নিষ্ক্রিয় করতে হামলা চালানো হয়েছে। ৭ই অক্টোবর থেকে ইসরাইলি সেনা বা বসতি স্থাপনকারীদের হাতে কয়েক ডজন মানুষ নিহত হয়েছেন।

ওদিকে হামাসের হামলায় ইসরাইলে নিহত হয়েছে ১৪০০ মানুষ।